বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল এক আইনের ছাত্রী। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতাকে কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল বিশেষ তদন্তকারী দল সিট। পাশাপাশি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। আর সেই কারণেই তাঁকে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহান পুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে অভিযোগকারী ছাত্রীর অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দকে ইচ্ছাকৃতভাবেই গ্রেফতার করছে পুলিশ। আর সেই অভিযোগের কথা তুলেই আত্মহত্যার হুমকি দেন আইনের ওই ছাত্রী। বছর তেইশের এই আইনের ছাত্রী নিজেকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে সিট-এর তরফে বলা হয় যে, সঠিক প্রমাণ না পাওয়া গেলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে প্রয়াগরাজে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগকারী ওই তরুণী বলেন যে, চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতারির বিষয়ে ইচ্ছে করে দেরি করছে পুলিশ তাঁর আরও দাবি সিট-এর তরফে চিন্ময়ানন্দকে আড়াল করার একটা প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এবং তাকে ইচ্ছে করে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এরপরই আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ওই তরুণী বলেন, সরকারের তরফে যদি তার মৃত্যু কামনা করা হয়, তাহলে তিনি শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়ে মরবেন।
পাশাপাশি অভিযোগকারী তরুণীর বাবারও দাবি, বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে কোনও এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে না এমনকী দিল্লি পুলিশের কাছে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করে আসার পরেও বিষয়টিকে কোনওরকম গুরুত্বই দিচ্ছে না সিট। প্রসঙ্গত, ২৩ বছর বয়সী আইনের ওই ছাত্রীর দাবি এক বছর ধরে চিন্ময়ানন্দ-এর হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, তিন বারের মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ পরিচালিত ল কলেজেই আইন নিয়ে পড়াশোনা করছে সে। সেই একই কলেজে তার ভাইও পড়ে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে সে বলে। প্রায় এক বছর ধরে চিন্ময়ানন্দ তাঁকে যৌন নিগ্রহ ও শারীরিক নির্যাতনও চালিয়েছে।