উত্তর প্রদেশের হাথরসকাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশে। নারী নিরাপত্তার দাবি সরব হয়েছে বহু মানুষই। আর এই হাথরসকাণ্ড ফিরিয়ে আনছে দিল্লির নির্ভয়ার স্মৃতি। কিন্তু কিন্তু এদিন উত্তর প্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজর তৈরি ফরেন্সিক রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা নেই। একই কথা বলেছেন উত্তর প্রদেশের জেলা শাসকও।
এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনিযায়ী দলিত মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর গলার আঘাতের কারণে। কিন্তু তাঁর গোপন অঙ্গে কোনও রকম আঘাতের চিহ্ন নেই। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা থেকে বোঝা যায় দলিত মহিলাকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করা হয়েছে। কারণ তাঁর শরীরে কোনও শুক্রাণু পাওয়া যায়নি। যার অর্থ হাথরসকাণ্ডে ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিল উত্তর প্রদেশ প্রশাসন। পাশাপাশি এডিজি আরও বলেছেন বর্ণবৈষম্য তৈরি করতেই এই জাতীয় দাবি করা হচ্ছে। এরবিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও প্রথম থেকেই স্থানীয় প্রশাসন দাবি করে আসছিল মহিলার শরীরে এমন কোনও আঘাত নেই যা থেকে প্রমাণ হয় মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বা যৌন নিপীড়ণ করা হয়েছে। নিহত মহিলার শরীরের কিছু নমুনা আগ্রায় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠান হয়েছে বসেও জানিয়ে প্রশাসন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বছর ২০ দলিত মহিলাকে বেআব্রু আবস্থায় বজরার ক্ষেতের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে তাঁর মা। সেই সময় মহিলার শরীর ছিল ক্ষতবিক্ষত। জিভ বেরিয়ে এসেছিল। তারপর থেকে টানা ১৪ দিন জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। আলিগড় হাসপালাতের পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। সেখানেই মহিলার মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর পরেও মহিলার পরিবার নিস্তার পায়নি। উত্তর প্রদেশ পুলিশ মহিলার দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে জোর করে রাতের অন্ধকারে দাহ করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে মহিলার পরিবার।