ভারত আনলকের দিকে যত এগিয়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ লক্ষের গণ্ডী পার করেছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে দেশ পা রাখবে পাঁচ নম্বর আনলকে। যার অর্থ আরও শিথিল হবে বিধিনিষেধ। কিন্তু তার আগেই আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮৫ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রের দেওয়া নির্দেশিকায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৮২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮১ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যাও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষের দিকে। এপর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা ৯৮ হাজার ৬৭৮। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও গত দুদিনে আবারও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই মারাত্ম ছোঁয়াচে রোগে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া সুস্থতার পরিসংখ্যান কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে। কারণ লকডাউনের ১৮৯ তম দিনে সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৫২ লক্ষেরও বেশি। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪০ হাজারেও বেশি। সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার রীতিমত জোর দিয়েছে নমুনা পরীক্ষায়। ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে ১৪ লক্ষেরও বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় প্রথম চারে রয়েছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষেরও বেশি। অন্ধ্র প্রদেশ আর কর্ণাটকে ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলির ক্রম তালিকায় ভারতের স্থান দ্বিতীয়। প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।