প্রতিবেশী হিসেবে চিন সবসময় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে, তিব্বতকেই স্বীকৃতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীর

Published : Nov 23, 2020, 06:10 PM IST
প্রতিবেশী হিসেবে চিন সবসময় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে, তিব্বতকেই স্বীকৃতি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীর

সংক্ষিপ্ত

অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে চিনকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ তিব্বতের সঙ্গেই ভারতে সীমান্ত রয়েছে বলে দাবি  আরও একবার তেমনই দাবি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীর  প্রতিবেশী হিসেবে চিন খুবই খারাপ বলেও মন্তব্য   

অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে আরও একবার চিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু। ভারতের প্রথম শ্রেণির একটি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন চিন দীর্ঘ দিন ধরেই অরুণাচলকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু ভারতও সেই দাবি অগ্রাহ্য করে আসছে, আগামী দিনেও চিনের এই দাবি অগ্রাহ্য করবে ভারত। কিছুটা সুর চড়িয়েই অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন পৃথিবীর কোনও মানুষই ইতিহাস মুথে ফেলতে পারে না। আর সবাই জানে যে চিন তিব্বত অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু এই এলাকায় ভারত আর চিনের সীমান্ত এক নয়। এই এলাকায় ভারত তিব্বতের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেয়। 

বিতর্কের জেরেই ভোলবদল বাম সরকারের, রাজ্যপালের সইয়ের পরেও কার্যকর হচ্ছে না পুলিশ আইন ...

বিধানসভা ভোটের আগে মিমে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলকে অক্সিজেন, দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে দল বদল ...

এটাই প্রথম নয়। এর আগেই যথেষ্ট কড়া ভাষাতেই চিন ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন তিনি। গ্যালওয়ান সংঘর্ষের পর তিনি অরুণাচল সীমান্তে গিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শনে একের পর এক নজির তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে বমলা পোস্টে সাহসী সেনাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, তাঁদের জোশ দেশের মানুষকে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করে। 

দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে খান্দু জানিয়েদেন, ভারতীয় জওয়ানরা যেমন চিনা সেনার সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত, তেমনই অরুণাচলের মানুষই চিনা অধিগ্রহণের কাছে মাথা নিচু করবে না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে চিনা সেনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে চিন সারাক্ষণ ভারতের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে। পাল্টা চিনা সেনার অগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য তৈরি রয়েছে ভারত। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে বাড়ান হয়েছে অবকাঠামো। সেনাবাহিনীর দ্রুত চলাচলের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ১,১০০ কিলোমিটার বরাবার  এলাকায় তৈরি হচ্ছে সড়ক। সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকা এখনও পর্যন্ত দুর্গম ছিল। সেইসব এলাকাগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যটি চিনের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, চিনা হস্তক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলির মত আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে ঋণ পেতে সমস্যায় পড়ে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের উন্নয়ণে পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল