কেরলের বিতর্কিত পুলিশ আইন সংশোধন এখনই কার্যকর হবে না। তীব্র সামালোচনার মুখে পড়ে কিছুটা হলেও পিছু হাঁটলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি জানিয়েছেন এই সংশোধনী ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। যাঁর এলডিএফ সরকারকে সমর্থন করছিল, গণতন্ত্রের সুরক্ষার পক্ষে ছিল, তাঁরাও উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে আইনটি সংশোধন করার উদ্যোগ থেকে কেরল সরকার বিরত থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন বিধানসভায় বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত শোনার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কেরল সরকার ফেসবুক, ট্যুইটার-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট মোকাবিলায় আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। নতুন আইনে বলা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্ট করার অপরাধে অপরাধীর পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে, ১০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হতে পারে। নতুন আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারীক প্রয়োজনে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করতে পারবে। রবিবারই নতুন এই অধ্যাদেশ জারি করেছিল কেরল সরকার। রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সম্মতি জানিয়ে বিলে সইও করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিলটি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত ছিল। আর সেই কারণেই পিছিয়ে গেল কেরলের বাম সরকার।
বাংলায় আসন সমঝতা নিয়ে সাবধান হতে হবে, বিহারে কংগ্রেসের খারাপ ফলের পর পরামর্শ বাম নেতার ...
গান্ধীদের ক্লিনচিট দিয়েও খোঁচা, কংগ্রেসে পরিবর্তনের দাবি তুললেন গুলামনবি আজাদ
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল কেরল সরকারের এই আইন সংবাদ মাধ্যমে স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। পাসাপাশি নতুন আই বাকস্বাধীনতার পক্ষেও অনুকূল নয় বলেও দাবি করা হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল বিরুদ্ধ কণ্ঠ স্তব্ধ করাতেই কেরলের বাম সরকার নতুন আইন আনছে। বিরোধীদের টার্গেট করতেই এই আইন কার্যকর করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফে। যদিও পিনারাই বিজয়ন বারবার জানিয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশ্য গণমাধ্যম বা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। তিনি আরও বলেন সংবাদ পত্রের একটি নির্দিষ্ট
আইন রয়েছে। তবে অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলির ওপর তেমন কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই । আর সেই কারণেই যেকোনও তথ্য অনাসেই ছড়িয়ে দিতে পারে। যা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। আর সেখানেই রাশ টানতে চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন বিজয়ন। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও জানিয়েছিলেন তাঁদের দলের আদর্শের সঙ্গে কেরল সরকারের নতুন আইনের আদর্শগত মিল নেই। রাজনৈতির বিশ্লেষকদের মত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভুয়ো পোস্ট বা ফের নিউজ রুখতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল বিজয়ন সরকার।