আরও এক ধাপ এগিয়ে ওই সাংসদ বলেছেন ১৮ বছরেই শুধু নয়, ১৬ বছর বয়েসেও যদি কোনও মেয়ের বিয়ে হয় তবে তাতে কোনও সমস্যা নেই। তাঁর দাবি কোনও মেয়ে মা হওয়ার ক্ষমতা যখনই অর্জন করে, তখনই তার বিয়ে দেওয়া যায়।
উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছে সমাজবাদী পার্টি। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ (Samajwadi Party MP) এস টি হাসানের (S T Hasan) দাবি মেয়েদের (girls) যদি ১৮ বছর বয়েসে (age of 18) ভোট দেওয়ার অধিকার থাকতে পারে, তবে কেন ১৮ বছর বয়েসে বিয়ে (marries) হতে পারবে না। আরও এক ধাপ এগিয়ে ওই সাংসদ বলেছেন ১৮ বছরেই শুধু নয়, ১৬ বছর বয়েসেও যদি কোনও মেয়ের বিয়ে হয় তবে তাতে কোনও সমস্যা নেই। তাঁর দাবি কোনও মেয়ে মা হওয়ার ক্ষমতা যখনই অর্জন করে, তখনই তার বিয়ে দেওয়া যায়।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় সমাজবাদী পার্টির ওই সাংসদ পার্লামেন্ট চত্বরে দাঁড়িয়েই এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তবে সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব এই মন্তব্য থেকে দূরেই রাখছেন দলকে। তাঁ দাবি এটা ওই সাংসদের ব্যক্তিগত মত। কারণ সমাজবাদী পার্টি এই ধরণের মানসিকতা নিয়ে চলে না। ক্ষমতায় থাকাকালীন মেয়েদের উন্নতির জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল সপা বলে দাবি অখিলেশের।
তবে অখিলেশ যাই বলুন না কেন, তার দলের সাংসদ বলছেন যদি কোনও মেয়ের বিয়েতে দেরি হয়, তবে দুটি অসুবিধা রয়েছে, একটি বন্ধ্যাত্বের হার বৃদ্ধি পায় এবং দ্বিতীয়ত, যখন বাবা মায়ের বার্ধক্য আসে, তখনও সন্তানরা জীবনে দাঁড়াতে পারে না। সাংসদের দাবি মেয়েদের মা হওয়ার বয়স ১৬-১৭ বছর থেকে শুরু করে ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এর বাইরে বিয়ে হলে প্রকৃতির নিয়ম ভেঙে ফেলার সামিল হয়।
হাসান এদিন আরও জানান যে লিভ-ইন সম্পর্কের অনুমতি দেওয়ার পরে তরুণদের মধ্যে শৃঙ্খলাহীনতা বেড়েছে। লিভ-ইন সম্পর্কের অনুমতি দেওয়ার পর অপরাধ বাড়ছে। তবে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব তার দলের সাংসদের মন্তব্যকে অস্বীকার করে বলেছেন, এসপি একটি প্রগতিশীল দল এবং এই জাতীয় কোনও বিবৃতির সাথে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলাদের জন্য বিবাহের বৈধ বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব পাস করেছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরে, সরকার বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইন, ২০০৬-এ একটি সংশোধনী আনবে। এছাড়াও বিশেষ বিবাহ আইন এবং হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এর মতো ব্যক্তিগত আইনগুলিতেও সংশোধন নিয়ে আসা হবে বলে জানানো হয়েছে। জয়া জেটলির নেতৃত্বে কেন্দ্রের টাস্ক ফোর্স ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নীতি আয়োগে কিছু সুপারিশ জমা দেয়। এই সুপারিশের ভিত্তিতেই বুধবার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সুপারিশের বিষয়গুলি ছিল মাতৃত্বের বয়স, অল্পবয়েসী মায়েদের মৃত্যুর হার কমানোর প্রয়োজনীয়তা, মায়েদের পুষ্টির সচেতনতা তৈরির মত সমস্যা।