সংক্ষিপ্ত

দিল্লি বিজেপির অভিযোগ দিল্লিতে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যখন একের পর এক মানুষ হাসপাতাল, চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তখন কেজরিওয়াল সরকার সেদিকে নজর দেয়নি। 

দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সরকারের সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সরকারের বা বিজেপির (BJP) সংঘাত রয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবাার সেই সংঘাতের আঁচ পড়ল সংসদ ভবনেও (Parliament)। কারণ দিল্লিকে বিজেপি সাংসদ পারভেশ সাহেব সিং ভার্মা (Parvesh Sahib Singh Varma) কেজরিওয়াল সরকারকে অবদস্থ করতে সংসদে সরাসরি মদের বোতল নিয়ে হাজির হলেন। আর আলোচনার সময় সেই মদের বোতল তুলে ধরলেন। 

দিল্লি বিজেপির অভিযোগ দিল্লিতে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যখন একের পর এক মানুষ হাসপাতাল, চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তখন কেজরিওয়াল সরকার সেদিকে নজর দেয়নি। দিল্লিতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। সেই সময় রাজস্ব আদায়ের জন্য মদের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন আবগারি নীতি গ্রহণ করেছিল। করোনা সংক্রমণ রোখার থেকে দিল্লির সরকারের বেশি মনযোগ ছিল রাজস্ব আদায় বাড়ানো। দিল্লির বিজেপির সাংসদ পারভেশ সাহেব সিং নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্যাউন্টেই একটি ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি মদের বোতল আর গ্লাস তুলে ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমালোচনা করছেন। 

বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, নতুন করে দিল্লিতে ৮২৪টি মদের দোকান খোলা হয়েছে। আবাসিক এলাকা, কলোনি, গ্রাম- সব জায়গাতেই মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে আম আদমি পার্টি সরকার। তিনি আরও বলেছেন মদ বিক্রি বাড়াতে রাত ৩টে অবধি মদের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবার মহিলারা যাতে গভীর রাত পর্যন্ত বারে বসে মদ খান তারজন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। মদ্যপানের বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করা হয়েছে। 

বিজেপি সাংসদের অভিযোগ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মূল লক্ষ্যই ছিল যেনতেন প্রকারে রাজস্ব বৃদ্ধি। দিল্লির বিজেপি সাংসদ কেজরিওয়ালের ভোট প্রচারে পঞ্জাবে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়েও কটাক্ষ করেন সাংসদে। তিনি বলেন পঞ্জাবে ভোট প্রচারে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেখানে আপ সরকার এলে মাদক সেবনের অভ্যাস ত্যাগ করাতে বিশেষ পদক্ষেপ নেবেন। অথচ তিনি দিল্লির মানুষের অ্যালকোহল সেবন বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দিল্লি সরকারের নতুন আবগারি নীতি অনুযায়ী অক্টোবর থেকে দিল্লি মদের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা খোলা রাখা হয়েছে। 

সাংসদের অভিযোগ দিল্লি সরকার বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা রোজগারের লক্ষ্যমাত্র নিয়েছে। আর সেই রোজগারের অধিকাংশই যাতে মদ বিক্রির শুল্ক থেকে আয় হয় তার জন্যই মদের দোকানগুলিকে ঢালাও বিক্রির অনুমতি দেওয়া হচ্ছএ। তিনি অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল রাজ্যের মানুষকে মাদকাশক্ত করছেন। ক্ষমতায় আসার আগে পরিশ্রুত পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর এখন তিনি মদ দিচ্ছেন রাজ্যের মানুষের হাতে।

Solid Waste Management: স্বচ্ছ ভারত পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর

Farmer Protest: ১৫ মাস পরে শেষ হওয়ার পথে কৃষক আন্দোলন, কেন্দ্রের খসড়া নিয়ে আলোচনা