গাছে বেঁধে বেদম মার, জল চাওয়ায় মুখে মূত্রত্যাগ, নেপথ্যে রয়েছে ব্যর্থ প্রেম ও প্রতিহিংসা

  • নারকেল গাছে বেঁধে মারা হল অবাধে লাথি-ঘুষি
  • জল চাইলে মুখে মূত্রত্যাগ করা হল
  • এমনই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটল ওড়িশার খুর্দা জেলায়
  • এর পিছনে রয়েছে প্রেম ও প্রতিহিংসার কাহিনি

 

amartya lahiri | Published : Dec 22, 2019 11:43 AM IST

এক ব্যক্তিকে একটি নারকেল গাছে বেঁধে চলছে অবাধে লাথি-ঘুষি। মার খেতে খেতে নেতিয়ে পরে সেই ব্যক্তি জল চাইলে তাঁর মুখে মূত্রত্যাগ করে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ওড়িশার খুর্দা জেলার এক গ্রামে ঘটা এই বর্বরোচিত ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। গটনার পিছনে একটি প্রেম ও প্রতিহিংসার কাহিনি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খুর্দা-র পুলিশ সুপার অজয় ​​প্রতাপ সাইন জানিয়েছেন, মারধরের ঘটনাটি ঘটে গত ১৮ ডিসেম্বর। যে ব্যক্তিকে মারা হচ্ছে তিনি বঙ্গিড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌম্যরঞ্জন দাশ। আর যে দুই ব্যক্তিকে ওই জঘন্য কাজ করতে দেখা গিয়েছে, তারা কৈপাদার গ্রামের রাজেন্দ্র ভূঁইয়া এবং গাটিয়া পল্টসিং। দেখা করার অছিলায় সৌম্যরঞ্জন-কে এক নির্জন জায়গায় ডেকে এনে তারপর তাঁকে জোর করে নিজেদের গ্রামে তুলে নিয়ে আসে ওই দুই দুষ্কৃতী।

এই ঘটনার পিছনে অতীত শত্রুতা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রয়েছে একটি ব্যর্থ প্রেম ও প্রতিহিংসার কাহিনি। জানা গিয়েছে, বঙ্গিড়া গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে কাইপাদার গ্রামের এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির পরিবারে সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে যায়। পরিবার ওই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। অভিযোগ এক মাস আগে কাইপাদার গ্রামের ওই ব্যক্তিকে তারা তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছিল।

এরই প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার সৌম্যরঞ্জন দাশ-কে রাজেন্দ্র ভূঁইয়া এবং পল্টসিংহ কাইদাপার গ্রামে নিয়ে গিয়ে ওই কাণ্ড ঘটায় বলে দাবি করেছে পুলিশ। সৌম্যরঞ্জন পাইক্রে সহ  ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কাইপাদার গ্রামের কেউই সৌম্যরঞ্জন-কে বাঁচাতে আসেনি। পুলিশ জানিয়েছে ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির ভিত্তিতে তারা একটি মামলা দায়ের করেছে। রাজেন্দ্র ভূঁইয়া এবং গাটিয়া পল্টসিং-এর সঙ্গে ভাটাপাড়ার সৌম্যরঞ্জন পাইকারে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৌম্যরঞ্জন পাইকারে-ও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।

 

Share this article
click me!