'মিথ্যে যারা রটাচ্ছেন তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করছি, আমার সব কাজের সমালোচনা করুন। যদি কোথাও কোনও ভেদাভেদের গন্ধ পান, তাহলে দেশবাসীর সামনে তা আনুন'। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে ঠিক এই ভাষাতেই বিরোধীদের সদ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
১৭৩১ টি অননুমোদিত কলোনির ৪০ লক্ষ বাসিন্দাকে বাড়ির মালিকানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দিতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সকলেরই চোখ ছিল মোদী কী বলেন সেইদিকে। কারণ, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগুন জ্বলছে। এই নিয়ে মাঝে মাঝে টুইট করলেও কোনও সভায় প্রধানমন্ত্রীকে মুখ খুলতে শোনা যায়নি। এদিন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন করতে গিয়ে মোদী কলোনির বাসিন্দাদের বাড়ির অধিকার তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল গুজব ছড়াচ্ছে। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। জনগণকে উসকাচ্ছে। সেইসব দলের প্রতি মোদী প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, যখন দিল্লির অবৈধ কলোনির বাসিন্দাদের থাকার আইনি অধিকার দেওয়া হয়েছে, তখন কি কাউকে তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করা হয়েছে? নাকি তারা কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে তা জানতে চাওয়া হয়েছে? ১৯৭০ বা ১৯৮০ সালের কোনও নথিও চাওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কলোনির বাসিন্দাদের আইনি অধিকার দেওয়ার ফলে শুধু হিন্দুরা নন, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান - কলোনিতে বসবাসকারী সবাই উপকৃত হয়েছেন। মোদী জানান, এটা তাঁরা করেছেন কারণ তাঁরা দেশকে ভালবাসেন। তাঁদের মন্ত্র 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ'।
প্রধানমন্ত্রী আরও ববলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ কয়েক দশক পরও, দিল্লির জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশকে ভয়, অনিশ্চয়তা, এবং ভুয়ো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে থাকতে হয়েছে। অবৈধ, সিলিং, বুলডোজার এবং কাট অফ ডেট - এইসব শব্দের গোলকধাঁধাতেই বিশাল এক জনগোষ্ঠীর জীবন সীমাবদ্ধ ছিল। দিল্লির আপ সরকার তাদের ব্যথা বুঝতে পারেনি, বোঝার চেষ্টাই করেনি। বরং অবৈধভাবে নিজেদের কিছু লোককে ২০০০ টা বাংলো দিয়েছে।