সিঙারার পর বিরিয়ানিতেও টিকটিকি, রেলকর্তার বুদ্ধিতে ধরা পড়ল বৃদ্ধের কারসাজি

  • খাবার কিনে বার বার রেলের সঙ্গে প্রতারণা
  • সিঙ্গারা, বিরিয়ানিতে টিকটিকি থাকার অভিযোগ
  • অভিযোগ পেয়ে সন্দেহ রেলকর্তার
  • হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন এক বৃদ্ধ

debamoy ghosh | Published : Jul 24, 2019 11:07 AM IST


বার বার একই কায়দায় খাবারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল মরা টিকটিকি। আর তাতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল এক রেল কর্তার মনে। সেই সন্দেহ যে অমূলক ছিল না, সেই প্রমাণও অবশ্য হাতেনাতে মিলল। 

অভিযোগ, খাবারে টিকটিকি পড়েছে বলে এক বৃদ্ধই বার বার বোকা বানাচ্ছিলেন খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ট্রেনের কর্মীদের। প্রত্যেকবারই তাঁকে খাবার পাল্টে নতুন খাবার দেওয়া হত। সুরিন্দর পাল নামে সত্তর বছরের ওই বৃদ্ধকে ইতিমধ্যেই হাতেনাতে ধরেও ফেলেছেন রেলকর্তারা। 

আরও পড়ুন- টিকিট থাকা সত্ত্বেও পরনের পোশাকের জন্য শতাব্দী এক্সপ্রেসে ওঠার অনুমতী পেলেন না বৃদ্ধ

জবলপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার বসন্ত কুমার শর্মা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, '১৪ জুলাই ওই ব্যক্তি জবলপুর স্টেশনে একটি সিঙারা খাওয়ার সময় তাতে টিকটিকি ছিল বলে অভিযোগ করেন। এর পরে গুন্টকল স্টেশনে তিনি অভিযোগ বিরিয়ানিতে টিকটিকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সন্দেহ হওয়ায় আমি গুন্টকলের ডিসিএম-কে ওই ব্যক্তির ছবি পাঠাই। দেখা যায়, দু' জনে একই ব্যক্তি। বিনা পয়সায় খাবার খাওয়ার লোভেই তিনি তিনি ওই কাণ্ড ঘটাতেন।'
 
বেশ কিছুদিন ধরেই ওই বৃদ্ধ এই কায়দায় ট্রেনের কর্মীদের বোকা বানাচ্ছিলেন বলেই অভিযোগ রেল কর্তাদের। গুন্টকল স্টেশনে যখন তাঁকে রেলের আধিকারিকরা জেরা করেন, তখন সব অভিযোগ স্বীকার করে নেন তিনি। ওই বৃদ্ধ দাবি করেন, রেল কর্মীদের বোকা বানাতে টিকটিকির বদলে তিনি একধরনের মাছ ব্যবহার করতেন তিনি। 

ঘটনার সময় রেকর্ড করা একটি ভিডিও-তে ওই বৃদ্ধকে বলতে শোনা যায়, 'আমি ভুল করেছি। আমি একজন প্রবীণ নাগরিক। মানসিকভাবে আমি স্থিতিশীল নই। আমি ব্লাড ক্যানসারেও ভুগছি। দয়া করে আমায় ছেড়ে দিন।'

যদিও রেলের তরফে ওই বৃদ্ধকে কোনও সাজা দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি এমন কাজ আর করবেন না, এই মুচলেকা নিয়ে তাঁকে রেহাই দেওয়া হয়। ওই বৃদ্ধ দাবি করেন, তাঁর বাবাও রেলের আধিকারিক ছিলেন। রেল কর্তারা তখন তাঁকে বলেন, রেল যখন তাঁর নিজের পরিবারের মতো তখন কীভাবে তিনি তার বদনাম করলেন?

Share this article
click me!