সংক্ষিপ্ত

  • টিকিট থাকা সত্ত্বেও শতাব্দী এক্সপ্রেসে ওঠার অনুমতী পেলেন না বৃদ্ধ
  • ৮২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের নাম রাম আওয়াধ দাস
  • অভিযোগ পরনে চাদর ও ধুতি থাকার জন্য তাঁকে ট্রেনে উঠতে বাধা গেয় রেল পুলিশ
  • ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি

টিকিট থাকা সত্ত্বেও শতাব্দী এক্সপ্রেসে ওঠার অনুমতী পেলেন না এক ৮২ বছরের বৃদ্ধ। ইটাওয়া থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার কথা ছিল রাম আওয়াধ দাস নামে এক বৃদ্ধের। সেইমতো কানপুর-নিউ দিল্লি শতাব্দী এক্সপ্রেসের টিকিটও কেটেছিলেন  তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ট্রেনে ওঠার অনুমতী মিলল না।

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে রাম আওয়াধ দাস নামে ওই বৃদ্ধ কানপুর-নিউ দিল্লি শতাব্দী এক্সপ্রেস ধরবেন বলে ইটাওয়া স্টেশনে আসেন। কিন্তু ট্রেনে ওঠার সময়ে বাধা দেন রেলপুলিশ। ওই বৃদ্ধের অভিযোগ পরনে ধুতি এবং গায়ে চাদর থাকার জন্যই নাকি রেলের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ট্রেনে উঠতে বাধা দেন। আর এই মর্মে উত্তর-মধ্য রেলওয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও ওই লিখিত অভিযোগে তাঁকে ট্রেনে উঠতে না দেওয়ার কারণটি স্পষ্ট করে লেখেননি তিনি। 

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাতেই তিনি রীতিমতো হতবাক। তাঁর কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছিল ভারতে এখনও হয়তো ব্রিটিশ শাসন চলছে। তিনি আরও বলেন রেল পুলিশের আচরণে তিনি যথেষ্ট আঘাত পেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন রেল পুলিশ তাঁকে দেখে বলেন যে তিনি, ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছেন। তারপর ট্রেনের টিকিট দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি, কারণ তাঁকে ট্রেন থেকে নেমে যেতে বাধ্য করে রেল পুলিশ। 

নগ্ন হয়ে মন্ত্রপাঠ, শিশুকে বলির চেষ্টা, শিক্ষকের কুসংস্কারে অসমে তুলকালাম

যদিও রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকেক কথায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ ভুল কোচে উঠে পড়েছিলেন এবং তাঁকে রেল পুলিশ অন্য কোচে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তারপর তিনি যখন সেখান থেকে নেমে অন্য কোচে যাচ্ছিলেন তার মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দেয়।