ওমর প্রশ্ন তোলেন যে মুসলমানরা যখন অন্যের ধর্ম বা অন্যের জীবনধারা নিয়ে আপত্তি করছে না কেন দেশে শুধু মুসলমানদেরই টার্গেট করা হচ্ছে?
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং এনসি সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লার কড়া আক্রমণ কেন্দ্রকে। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কেন মুসলিমদের বারবার হিংসার নিশানায় থাকতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করে ওমর আবদুল্লা বলেছেন, "রাজনৈতিক লাভের জন্য এবং ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরির জন্য এই দেশে শুধুমাত্র মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে।"
ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা এদিন বলেন যে আমাদের মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার না করতে, হালাল মাংস বিক্রি না করতে, হিজাব না পরতে বলা হয়েছে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে চলছে। ওমর প্রশ্ন তোলেন যে মুসলমানরা যখন অন্যের ধর্ম বা অন্যের জীবনধারা নিয়ে আপত্তি করছে না কেন দেশে শুধু মুসলমানদেরই টার্গেট করা হচ্ছে?
বারামুল্লার একটি স্কুলের হিজাব না পরার নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় ওমর আবদুল্লা একথা বলেন। এনসি নেতা বলেছেন, কর্ণাটকের মতো, এখন বিজেপির সদস্যরা রাজনৈতিক লাভের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। তিনি এদিন বলেন "হিজাব আমাদের মৌলিক অধিকার এবং কারো ধর্মীয় বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়," তিনি আরও যোগ করেন জম্মু কাশ্মীরের সঙ্গে এই ব্যবহার কখনও ভারত করেনি। আমাদের যদি বলা হত এইরকম ব্যবহারই চলবে, তাহলে আমাদের পদক্ষেপ আগে অন্যরকম হত।
ওমর আরও অভিযোগ করেছেন যে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ কাশ্মীরি জনগণকে বিরক্ত করার জন্য অস্বাভাবিক বিদ্যুত কাটছাঁট করা হচ্ছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, "মনে হচ্ছে আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বিরক্ত করা হচ্ছে। আমি আশ্চর্য হই যে কেন দিন ও রাতে বাকী ঘন্টাগুলিতে বিদ্যুৎ থাকে তবে সেহরি এবং ইফতারের সময় নয়। আপনি সেহরি খেতে ঘুম থেকে উঠেন, বিদ্যুৎ নেই এবং ইফতার করার সময়ও একই অবস্থা। তারাবিহ নামাজের সময় বিদ্যুৎ থাকে না এবং নামাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ ফের চলে আসে।"
এই বিষয়ের উল্লেখ করে ওমর বলেন "জম্মু কাশ্মীরের মানুষকে বিরক্ত করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।" এদিন ওমর বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলমানদের বাড়িঘর বুলডোজ করার গল্পের পক্ষপাতদুষ্ট কভারেজের জন্য ন্যাশনাল মিডিয়ারও নিন্দা করেন। দেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লা পরামর্শ দিয়েছেন যে বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলিকে দূরে রাখতে যৌথভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (পিএজিডি) জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত।