Supreme Court On Stray Dogs: পথ কুকুর সংক্রান্ত মামলায় এবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সশরীরের আদালতে তলব সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। কেন এই তলব? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
পথ কুকুর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শুক্রবার স্পষ্ট বার্তা দিলো দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায় যে, আগামী নভেম্বর মাসের ৩ তারিখের মধ্যে দুই রাজ্য বাদে বাকি সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়ে সুপ্রিম নির্দেশের পরও পথকুকুরদের নিয়ে কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি? তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
25
কোন দুই রাজ্যের মুখ্যসচিবদের হাজিরা দিতে হবে না?
এই পথ কুকুর সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার আদালত জানায় যে, পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গনা বাদে বাকি সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের হাজিরা দিতে হবে আগামী ৩ নভেম্বর। শুধু তাই নয়, এর আগের শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ মুখ্যসচিবদের সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো। সেই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল শুক্রবার।
35
ভার্চুয়াল নয়! সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ
এদিকে পথ কুকুরদের নিরাপদ শেল্টার দিতে হবে এবং রাস্তা থেকে দ্রুত তাদের সরিয়ে ফেলতে হবে। গত অগাস্ট মাসে এই কথা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। তারপর কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আবেদন জানায় যে, যদি সম্ভব হয় তাহলে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবরা ভার্চুয়াল হাজিরা দেবেন। যদিও সলিসিটর জেনারেলের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বহাল রাখল আগের নির্দেশই।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে পথ কুকুরদের নিয়ে রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ করেছে এই পর্যন্ত? এই বিষয়ের মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, ‘’সরকার নিয়ম বানিয়েই সেই নিয়ম মানছেন না সরকারি আধিকারিকরা। আমরা যখনই মুখ্যসচিবদের ডাকি, তখনই তারা ঘুমিয়ে থাকেন। আদালতের নির্দেশে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। আমাদের দুর্ভাগ্য আদালত ফের তাদের সময় দিয়েছে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার জন্য।''
55
কোথায় দাঁড়িয়ে পথ কুকুরদের ভবিষ্যৎ?
এর আগে পথ কুকুর সংক্রান্ত মামলায় গত ২২ অগাস্ট শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি এবং NCR পথ কুকুরদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে শেল্টারে রাখতে হবে বলে জানায়। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয় যে, বন্ধ্যাকরণ ও টিকাদানের পর কুকুরগুলোকে আবার একই এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে জলাতঙ্ক আক্রান্ত বা আক্রমণাত্মক আচরণকারী কুকুরদের আলাদা করে রাখা হবে। অর্থাৎ সেগুলিকে শেল্টারে রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,'জলাতঙ্ক আক্রান্ত বা আক্রমণাত্মক আচরণকারী কুকুর ছাড়া বন্ধ্যাকরণ ও টিকাদানের পর অন্যান্য রাস্তার কুকুরদের আবার একই এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে।' তবে এখন দেখার আগামী ৩ নভেম্বর সব রাজ্যের মুখ্যসচিবরা আদালতে সশরীরে হাজির হন কীনা! এবং কোন পথে এগোয় পথ কুকুরদের পথের ভবিষ্যৎ।