ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীদের দেশের মধ্যে ফ্লাইটে একাধিক কেবিন লাগেজ বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং পয়েন্টে বোঝা কমানো।
দেশজুড়ে (India) করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মাঝে নয়া নিয়ম চালু করল ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিওরিটি (BCAS)। এক নির্দেশিকা (Domestic Flights Rule) জারি করে জানানো হয়েছে, দেশের সব বিমানবন্দর (Airport) জুড়ে একটি হ্যান্ডব্যাগ (One Hand Bag) নিয়ম আরোপ করেছে। বিসিএএসের জারি করা সার্কুলার অনুসারে, ডোমেস্টিক ফ্লাইটের যাত্রীদের দেশের মধ্যে ফ্লাইটে একাধিক কেবিন লাগেজ বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং পয়েন্টে বোঝা কমানো। তবে বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের তালিকাভুক্ত আইটেমগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিসিএএসের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কোন যাত্রীকে লেডিস ব্যাগ সহ বিজ্ঞপ্তিতে তালিকাভুক্ত আইটেমগুলি ছাড়া একের বেশি হাত ব্যাগ বহন করার অনুমতি দেওয়া হবে না।”। নতুন নিয়মটি মূলত কোভিড বিধি মেনেই জারি করা হয়েছে।
অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থাটি উল্লেখ করেছে যে যাত্রীদের স্ক্রিনিং পয়েন্টে গড়ে দুই থেকে তিনটি হাত ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে। এটি ক্লিয়ারেন্সের সময় বাড়িয়ে দেয় পাশাপাশি, PESC পয়েন্টে যাত্রীদের অসুবিধার সৃষ্টি করে।
বিসিএএস এয়ারলাইনস, বিমানবন্দর অপারেটর এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের 'একটি হাত ব্যাগ নিয়ম' প্রয়োগ নিশ্চিত করতে এবং যাত্রীদের স্বচ্ছতার জন্য হোর্ডিং, টিকিট এবং বোর্ডিং পাসে এই সম্পর্কে নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে লিখে দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়। বলা হয় ৭ দিন নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের। অর্থাৎ বিদেশ থেকে ভারতে এলেই ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হল। ৭ দিন পর অর্থাৎ ৮ দিনের মাথায় কোভিড টেস্ট করাতে হবে। কোরোনার তৃতীয় ঢেউ যেভাবে গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়ছে সেই জন্যই মঙ্গলবার থেকে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য নতুন গাইডলাইন পেশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যে দেশগুলোতে কোভিড সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হচ্ছে সেই দেশগুলিকে রিক্স জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই তালিকায় ১৯ টি দেশের নাম প্রথম থেকেই ছিল। ডিসেম্বরে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৯ টি দেশের নাম।
নতুন গাইড লাইন অনুসারে প্রতিটি বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। তারপর ৮ দিনের মাথায় কোভিড টেস্ট করাতে হবে। টেস্টের রিপোর্ট যদি পজেটিভ আসে তাহলে তাঁর নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিং-র জন্য পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে তার পাশের আসনে বসা ব্যক্তি ও কেবিন ক্রু-কে সংস্পর্শে আসা ব্য়ক্তি হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। আর যদি আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাহলে তাহলে আরও সাত দিন নিজের শরীরের ওপর নজর রাখতে হবে।