উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মুখ কাকে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এবার সেই জল্পনারই যেন সমাধান হয়ে গেল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর হাত ধরে।
বাকি চার রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। এদিকে ভোট উপলক্ষে ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচারাভিযান শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী প্রতিটা দলই। এদিকে রাজ্যে ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। এমনকী এবারের ভোটও গেরুয়া শিবির লড়তে চলেছে দেশের হিন্দুত্বের পোস্টার বয় তথা উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (current Chief Minister of Uttar Pradesh is Yogi Adityanath) কাঁধে ভর করেই। যোগীই যে এবারের নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ (face of the BJP chief minister) তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মুখ (Chief Minister's face on behalf of the Congress) কাকে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এবার সেই জল্পনারই যেন সমাধান হয়ে গেল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Congress Leader Priyanka Gandhi) হাত ধরে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার একটি সাংবাদির বৈঠকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সরাসরি প্রশ্নকারী সাংবাদিককে বলেন, “আপনি কি অন্য কোনও মুখ দেখতে পাচ্ছেন?” তার এই উত্তর নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। অন্যদিকে নির্বাচনের পর তিনি কি অন্য কোনো দলকে সমর্থন করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে জোটে আমরা যোগ দেব, আমরা চাই আমাদের নারী ও তরুণদের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা সরকারের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হোক।” এদিকে গত বছর চলমান কৃষক আন্দোলনের সময় থেকেই কংগ্রেসের তরফে উত্তরপ্রদেশে শক্ত হাতে সংগঠনের হাল ধরতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে। এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কাই যে দলের প্রধান মুখে হয়ে উঠেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আসন্ন নির্বাচনে দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মুখ কাকে করা হবে সে বিষয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নামও।
আরও পড়ুন-চব্বিশের ময়দানে মোদীকে ঠেকাতে হাতেই ভরসা মমতার, ফের ঐক্যের বার্তা সোনিয়াকে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরিতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজনৈতির মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। যদিও তারপরেও উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কার অবস্থান নিয়ে কার্যত সমালোচনার ভূমিকাতেই দেখা গেল তৃণমূল মুখপত্র কুনাল ঘোষকে। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের নেতৃত্ব ফেল করছে সেটাই তো মান্যতা পাচ্ছে যার জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এখন বলতে হচ্ছে একথা। কই তিনি তো বললেন না যে আমার নেতৃত্ব রয়েছে। আমি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী। কিন্তু এখন তিনি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অন্য কোনও মুখকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ এটা তো কংগ্রেসের অছিত ছিল ঘোষণা করা। ঘোষণাটাও করতে পারছে না। সহজ কথায় নেতৃত্বের সঙ্কটে যে কংগ্রেস চলছে তা এদিন আরও পরিষ্কার হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথায়।
আরও পড়ুন-এগিয়ে না পিছিয়ে বাংলা তা ঠিক করুক বর্তমান প্রজন্ম, ফের শমীকের নিশানায় মমতা