এই বিল পাশ করাতে গেলে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল চলতি সংসদ অধিবেশনেই আনা হতে পারে বলে জানা গেছে। শোনা যাচ্ছে, এই বিল আনতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত। সূত্রের খবর, এই সংসদ অধিবেশনেই বিলটি আনতে পারে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই বিলে ঐকমত তৈরি করতে সরকার প্রস্তুত এবং বিস্তারিত আলোচনার জন্য এটি যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি-তে পাঠানো হতে পারে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সম্মত বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জেপিসি আলোচনা করবে।
দেশজুড়ে বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি সকল রাজ্য বিধানসভার স্পিকারদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানা গেছে। সাধারণ মানুষের মতামতও গ্রহণ করা হবে এক্ষেত্রে। ঐকমত ছাড়া বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করা কঠিন বলেই সরকার মনে করছে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের জন্য কমপক্ষে ৬টি বিল পাশ করাতে হবে।
আর তার জন্য সরকারের সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। সংসদের উভয় কক্ষেই এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু উভয় কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার ২৪৫টি আসনের মধ্যে এনডিএ-র ১১২টি এবং বিরোধী দলগুলির ৮৫টি আসন রয়েছে। তবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সরকারের কমপক্ষে ১৬৪টি ভোট প্রয়োজন।
ফলে, শেষপর্যন্ত বিষয়টা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।