প্রকাশিত হল ডিজিটাল ইন্ডিয়া সম্পর্কিত ন্যাসকম-এর রিপোর্ট। 'ওপেন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম', ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাবনা খুলে দেবে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হল ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানিস বা ন্যাসকম (NASSCOM)-এর ডিজিটাল ইন্ডিয়া সম্পর্কিত রিপোর্ট। আর এই রিপোর্টে বলা হয়েছে 'ওপেন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম' ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের সুযোগ তৈরি করবে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের উৎপাদন তৈরি হবে, যা ভারতের জিডিপির ৫.৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ দেশের সঞ্চয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, মোট ১০টি সামাজিক ও সরকারি ক্ষেত্র জুড়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অতিরিক্ত অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ১০টি ক্ষেত্র হল -
স্বাস্থ্য - ১ থেকে ৩ বছরের বেশি আয়ু বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রতিভা - ৫ থেকে ৮ কোটির বেশি মানুষ আরও ভাল চাকরি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শহুরে প্রশাসন - স্মার্ট গতিশীলতা সমাধানের কারণে বছরে ব্যক্তি প্রতি ১০০ ঘন্টারও বেশি সময় বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি - কৃষকদের আয় ১.৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশিত।
আইন ও বিচার - ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদালতে ঝুলে থাকা ২০ থেকে ৬০ লক্ষ বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
লজিস্টিকস - পণ্য়াদির পরিবহন খাতে জাতীয় ব্যয়ে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দক্ষতা সঞ্চয়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
শিক্ষা - দেড় থেকে আড়াই কোটি শিক্ষার্থী স্কুলছুট হবে না বলে প্রত্যাশিত।
আরও পড়ুন - 'পাকিস্তানই ট্রেনিং দিচ্ছে তালিবানদের' - দেশ ছেড়েই বিস্ফোরক আফগান মহিলা পপ তারকা, দেখুন
আরও পড়ুন - মৃতদেহকেও ধর্ষণ করতে ছাড়ে না তালিবান - মেয়ে শরীর পেলেই হল, দেখুন ছবিতে ছবিতে
স্টেট সার্ভিস ডেলিভারি - সামাজিক নিরাপত্তা জালে ২০ শতাংশ বেশি যোগ্য নাগরিকরা অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ই -ল্যান্ড রেকর্ডস - জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের সমাধানের ফলে ১০ লক্ষ মানুষ এবং ২,৫০,০০০ হেক্টর জমি প্রভাবিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প - আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হবে ১ থেকে ২ কোটি এমএসএমই, অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।