
Operation Keller: সোপিয়ানে অপারেশন কেল্লার- চালানোর সময় ৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এই তিনজনের নামে আগেই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রে ধরে কাশ্মীর পুলিশের কাছে এদের তথ্য আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান করে সেনারা। তারপর নিহত হয় তিনজন জঙ্গি। এই সকল জঙ্গিদের কাছ অস্ত্রশস্ত্র যে উদ্ধার হবে তা নতুন কথা নয়। তবে এর সঙ্গে এদের কাছ থেকে কী কী উদ্ধার হয়েছে শুনলে চমকে যাবেন।
জানা গিয়েছে, এই সকল জঙ্গিরা স্কুল ব্যাগ নিজেদের সঙ্গে রেখেছিল। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে ছিল তারা। তাদের ব্যাব থেকে উদ্ধার হয়েছে বিস্কুট আর ড্রাই ফ্রুটস। সহ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল, তাদের ব্যাগে পাওয়া গিয়েছে ম্যাগাজিন, বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র। অবাক করা বিষয় হল, তাদের কাছ থেকে যে পরিমাণ গুলি উদ্ধার হয়েছে তা দিয়ে তারা দীর্ঘক্ষণ লড়াই চালাতে পারত।
মঙ্গলবার সোপিয়ানে মিলিটারি অপারেশনে নিহক কিন জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও গ্রেনেড। সঙ্গে মিলেছে বুলেট। উদ্ধার হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল ভারতীয় টাকা। সঙ্গে মিলেছে পর্যাপ্ত বিস্কুট ও খাবার। সঙ্গে মিলেছে সেনাবাহিনীর পোশাক।
তবে, সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে একজনের পরিচয় এখন জানা যায়নি। তবে দুজন হল শাহিদ কুট্টে। বাড়ি চটিপোড়া হিরপোড়া। লস্কর ই তৈবায় ক্যাটাগরি এ-তে যোগদান করেছিল সে। দ্বিতীয় জঙ্গির নাম আদনান সফি দার। বাড়ি ওয়ান্দুনা মেলহোরায়। ২০২৪ সালে লস্কর ই তৈবায় ১৮ অক্টোবর ক্যাটাগরি সি-তে যোগ দেয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীর উপত্যকার সোপিয়ানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে আছে বলে খবর পান নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা। তারা লশকর-এ-ত্যায়বার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে শুরু হয় অভিযান। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। প্রথমে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে এই অভিযান শুরু হয়েছিল বলে খবর। পরে তা সোপিয়ানের দিকে সরে যায়। এই এলাকায় অন্তত ৪ জন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল বলে খবর। তাদের খোঁজে বাহিনীর অভিযান শুরু হতেই ২ পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। সোপিয়ানে অপারেশন কেল্লার- চালানোর সময় ৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এই তিনজনের নামে আগেই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রে ধরে কাশ্মীর পুলিশের কাছে এদের তথ্য আসে।