
Operation Sindoor: ৭ থেকে ১০ মে-র মধ্যে ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর (Pakistani Army) অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভারতীয় সেনার (Indian Army) পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানানো হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (Director General of Military Operations) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই (Lieutenant Gen Rajiv Ghai) এই খবর জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) চলাকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে ডিজিএমও জানিয়েছেন, ‘আমাদের কয়েকটি এয়ারফিল্ড ও ডাম্পে (যেখানে সামরিকবাহিনীর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, জ্বালানি, অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয়) আকাশপথে হামলা চালানো হয়েছে। সব হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। ৭ থেকে ১০ মে-র মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ ও ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে চালানো গুলিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।’
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘পাকিস্তানের কোনও যুদ্ধবিমানকে আমাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ওদের সব বিমানকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা কোনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাইনি। ওদের কতগুলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, তা আমরা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না। তবে নিশ্চিতভাবেই ওদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ডিজিএমও জানিয়েছেন, ৭ মে গভীর রাতে 'অপারেশন সিঁদুর'-এ শতাধিক পাকিস্তানি জঙ্গি খতম হয়েছে। তাদের মধ্যে ছিল ইউসুফ আজহার (Yusuf Azhar), আবদুল মালিক রউফ (Abdul Malik Rauf), মুদসসির আহমেদের (Mudassir Ahmed) মতো কুখ্যাত জঙ্গি। পুলওয়ামায় বিস্ফোরণ, ১৯৯৯ সালে কাঠমাণ্ডু-দিল্লি আইসি-৮১৪ উড়ান ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত যে এভাবে অভিযান চালাবে, তা ভাবতেই পারেনি পাকিস্তান। এই অভিযানের পর পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালালেও, তাতে ভারতের বিশেষ কোনও ক্ষতি হয়নি। পাকিস্তানের হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।