Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ছিল ভারত-পাক সম্পর্ক। বুধবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর আরও চড়ছে দুই দেশের সংঘাতের পরিস্থিতি।
লস্কর-ই-তৈয়বার গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মারকাজ তৈয়বা
মারকাজ তৈয়বা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শেখপুরার মুরিদকের নাঙ্গল সাহাদানে অবস্থিত। এর স্থাপনা ২০০০ সালে। এটি লস্কর-ই-তৈয়বার গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। মারকাজ তৈয়বার ৮২ একর জুড়ে বিস্তৃত। এতে মাদ্রাসা, বাজার, জঙ্গিদের থাকার জায়গা, খেলার সুবিধা, মাছের খামার এবং কৃষি ক্ষেত্র রয়েছে।
28
জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়
এখানে পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশ থেকে জঙ্গি হতে আসা যুবকদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শারীরিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। মারকাজে একটি সুফা একাডেমী আছে যা পুরুষদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয় এবং মহিলাদের জন্য আলাদা সুফা শিক্ষা কেন্দ্র আছে।
38
আতঙ্কের কারখানা মারকাজ তৈয়বা
এখানে পড়ুয়াদের কট্টরপন্থী বানানো হয়। তাদের অস্ত্র তুলে নিতে এবং জিহাদ করতে প্রস্তুত করা হয়। এটি আতঙ্কের কারখানা। লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জামাত-উদ-দাওয়া নেতৃত্বের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ওসামা বিন লাদেন ২০০০ সালে মারকাজ তৈয়বায় মসজিদ ও গেস্ট হাউস বানাতে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ইশারায় অজমল কাসাব সহ ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অপরাধীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ২৬/১১ -এর মূল ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলি এবং তাহব্বুর হুসেন রানা, জাকি-উর-রহমান লাখভীর নির্দেশে আব্দুল রহমান সাইদ ওরফে পাশা, হারুন এবং খুররম মুরিদকে গিয়েছিলেন। এখানে লস্করের আমির হামজা, আব্দুল রহমান আবিদ এবং জাফর ইকবাল থাকেন। লস্করের কমান্ডার খুবাইব, ঈসা এবং কাসিম এই মারকাজে আসেন।
58
ভারত-আমেরিকা সহ অনেক দেশ লস্করকে জঙ্গি ঘোষণা করেছে
ইউকে ২০০১, আমেরিকা ২০০১, ভারত ২০০২ এবং অস্ট্রেলিয়া ২০০৩ সালে লস্কর-ই-তৈয়বাকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছিল। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর লস্কর-ই-তৈয়বাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় ঢুকিয়েছিল। হাফিজ সাইদ এবং জাকি-উর-রহমান লাখভী সহ লস্করের অন্যান্য জঙ্গির বাড়ি এই পরিসরে। তারা মারকাজ থেকে চালানো কট্টরপন্থী কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন।
68
লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে, লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক এলাকা। এখানেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার, যা পাকিস্তানে 'সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘড়' নামেই পরিচিত। এখান থেকেই জঙ্গিদের পালন করত পাকিস্তান।
78
পাক মাটিতে একযোগে ভারতের তিন বাহিনীর আক্রমণ
সরকারি সূত্রে খবর, ১৯৭১- এর যুদ্ধের পর এই প্রথমবার। পাকিস্তানের মাটিতে একযোগে প্রত্যাঘাত করল ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা। পাকিস্তান-পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে। যারফলে পাক অধিকৃত সীমান্তে তৈরি হয়েছে তীব্র আতঙ্ক।
88
বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিতেই নিশানা
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের সামরিক কোনও ঘাঁটিকে নিশানা করা হয়নি। বেছে বেছে ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটি। ভারতের রাফাল গুঁড়িয়ে দিয়েছে এইসব জঙ্গি ঘাঁটি। সরকারি সূত্রে এমনটাই তথ্য মিলেছে।