সংক্ষিপ্ত
Dilip Ghosh On Op Sindoor: পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস খুনের বদলা নিয়েছে ভারত। বুধবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা…
Dilip Ghosh On Op Sindoor: পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস খুনের বদলা নিয়েছে ভারত। বুধবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে একযোগে ভারতের তিন বাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি। তারপরেও ধমকানি চমকানি থামছে না পাকিস্তানের (Pakistan)।
'পড়শি' পাকিস্তানের এই আচরণের বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh News)। তিনি বলেন, ''পাকিস্তান তার জন্ম থেকেই হিংসার রাজনীতি করে আসছে। আতঙ্কবাদ তাদের রাজনীতি। ভারতের পিছনে লেগে থাকা তাদের রাজনীতি। চিরদিন বর্ডারের নাগরিকদের ওপর সেলিং করা তাদের জমি ফসল নষ্ট করা, এইসব করে এসেছে। এখন ওখানে রেলিং দেওয়ায় এইপাশে আসতে পারে না। ওদের সেনার ভারতের সঙ্গে লড়ার দম নেই।''
‘’ভারত কোনও দিন সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়নি। ভারত এবং মোদীর পিছনে সবাই আছে। পাকিস্তানের সেনারা হুহু করে চাকরি ছাড়ছে। সেনা প্রধান পরিবারকে অন্য দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাচ্ছেন। ওদের নিজের দেশের ভিতরে বেলুচিস্তান বা তালিবান গ্রুপকে সামলাতে পারছে না। তাই এইসব করে একটু ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এতে ওদের হিতে বিপরীত হবে।''
একই সঙ্গে ভারতের অপারেশন সিঁদুর অভিযানে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন প্রাক্তন এই সাংসদ। দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ওরা ভুলে গেছে আমাদের কয়েক হাজার সেনার প্রাণের বিনিময়ে আমরা ওদের স্বাধীন করেছিলাম। তাদের মা বোনেদের সম্মান বাঁচিয়েছিলাম। নাহলে আজ ওদের শেষ করে দিত। ওরা পাকিস্তানের বুটের নিচে থাকত।''
‘’ওরা নিমকহারাম। ইসলামের নামে সারা বিশ্বের কিছু দেশকে এক করার চেষ্টা চলছে। তাই বাংলাদেশ বা তুরস্ক এই ধরনের কথাবার্তা বলছে। এটাই একদিন ওদের কাছে কাল হবে। যদি ওরা ঠিক পথে চলত তাহলে তো কেউ না কেউ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াত। সবাই বুঝে গেছে মৌলবাদের নামে সন্ত্রাসবাদকে প্রমোট করছে পাকিস্তান। তাই গোটা দুনিয়া আজ ওদের বিরুদ্ধে। হাতেও মারা হচ্ছে ভাতেও মারা হচ্ছে।''
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভারত-পাক সংঘাতের আবহে দেশের স্বার্থে যে কোনও পরিস্থিতিতে তারা কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবেন। তিনি বলেন, ''কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব''।
দেশের এই সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের পাশে থাকার বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু তা-ই নয়, এই সময়ে ‘অযথা আতঙ্কিত’ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আর এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee News) পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ''এটা রাজনৈতিক মন্তব্য। উনি জানেন এর বিরোধিতা করলে মানুষ শুইয়ে দেবে এবং ধুয়ে দেবে। কমিউনিস্ট পার্টি কোনওদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলে না। আমরা ৭৫ বছর ধরে এই জিনিস দেখে আসছি। কংগ্রেস বলবে না। ওদের নেতারা পাকিস্তানের পক্ষে বলবে। কংগ্রেসের বাই প্রোডাক্ট হল তৃণমূল। আজ জনগণের সেন্টিমেন্ট এর চাপে মিউ মিউ করতে হচ্ছে। যদি হিম্মত থাকে তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলুন। আপনিই সন্ত্রাসবাদকে প্রমোট করছেন। বলুন বাংলার মানুষকে, যে আমরা ১০ কোটি মানুষ কেন্দ্রের সঙ্গে আছি। সেনার সঙ্গে আছি। কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে থাকব। এক্ষুনি বলা উচিৎ। নাহলে বুঝে নেব ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।''
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অন্ততনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরীহ পর্যটককে বেছে-বেছে খুন করে পাক জঙ্গিরা। তারপর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নিতে ক্ষোভে ফুঁসছিল আসমুদ্র হিমাচল। কবে নেওয়া হবে প্রতিশোধ? একটাই প্রশ্ন করছিল দেশবাসী। অবশেষে ৭ মে ঘটনার ১৫ দিন পর পহেলগাঁওয়ের হামলার পাল্টা প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারত। 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানে ধূলিস্যাৎ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি।
যদিও ভারতের প্রত্যাঘাতের বদলা নিতে থেমে থাকেনি পাকিস্তান। জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে সীমান্তে পাক সেনার গুলি বর্ষণ। এতে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু, ৪৩ জন আহত। পহেলগাঁও আক্রমণের প্রতিশোধ নিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু পাকিস্তান থেমে নেই। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গোলাবারুদ চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুতি শুরু হয়েছে। এখন দেখার কোন দিকে গড়ায় ভারত-পাক সমীকরণের জল!
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।