দেশে দিনে দিনে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এর মাঝেও কিন্তু চিত্রটা একদমই বদলায়নি জম্মু-কাশ্মীরের। সীমান্তের ওপার থেকে যেমন জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে তেমনি নিয়মিত সীমান্তের ওপর থেকে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা। এর মধ্যে নতুন এক আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে, জানা যাচ্ছে জমম্-কাশ্মীর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ২০০ বেশি যুবক, তাদের প্রত্যেকের কাছেই রয়েছে পাকিস্তানের ভিসা।
গত কয়েকদনি হল কাশ্মীরে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনা। তাতেও সাফল্য আসছে একের পর এক। খতম হচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের নেতা থেকে কর্মী সকলেই। কাশ্মীরের মুখ্য চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রধানদের ইতিমধ্যে পুলিশই অভিযানে খতম করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছিল, উপত্যকায় এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপে রাশ টানা যাবে। এর মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এক তথ্য দিলেন গিয়েন্দারা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে এখনো পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের ৩৯৯ জন যুবককে পাকিস্তান হাইকমিশন ভিসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২১৮ জন কাশ্মীরি যুবক এখনো নিখোঁজ। গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর অনুমান, ওই কাশ্মীরি যুবকদের সন্ত্রাসী ট্রেনিং দিচ্ছে পাকিস্তান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই যুবকদের জঙ্গিগোষ্ঠীর ট্রেনিং দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে সামিল করা হতে পারে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অস্ত্র সরবরাহ, সেনা সম্পর্কিত তথ্য এদের থেকে জানতে চাইছে পাকিস্তান। প্রশিক্ষণের পরে কাশ্মীরে ফেরত পাঠানো হবে এদের। এই যুবকরা কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে।
ভারত ক্রমাগত পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে চলেছে। এই সব জঙ্গিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ফিরে আসছে পাকিস্তানি ভিসা নিয়ে। গত ৫ই এপ্রিল ৫ জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা, এর মধ্যে ছিল আদিল হুসেন, উমর নাজির খান, সাজ্জাদ আহমেদ হুররা। এরা ২০১৮ সালে পাকিস্তান যায়, তাদের কাছে পাক হাই কমিশনের দেওয়া ভিসা ছিল।
আরও পড়ুন: এতকিছুর পরেও একটুও বদলায়নি চিন, ফের ভারতীয় এলাকা দখল লাল ফৌজের
এর মধ্যেই গত সপ্তাহে কাঠুয়ায় পাক স্পাই ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। ওই ড্রোন থেকে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এটির মাধ্যমে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল বলে অনুমান জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। এরই মধ্যে কাশ্মীরি যুবকদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নতুন মাত্র যোগ করেছে। বিষয়টি সামনে আসতেই উপত্যকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা এজিন্সগুলিকে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন গোয়েন্দারা।