নতুন করে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে না, সংবাদ মাধ্যমের এই দাবি উড়িয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল নতুন ভাবে ৫৮ লক্ষ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে বিভিন্ন রাজ্যে। এই জন্য নতুন করে বরাত দেওয়া হয়েছে। এক সরকারি প্রেস রিলিজে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভ্যাকসিন ডোজের বরাত দেওয়া হচ্ছে না, এই মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা সত্য নয়। মার্চ মাসে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে ১০০ মিলিয়ন ও ভারত বায়োটেকের কাছে ১০ মিলিয়ন ডোজের বরাত গিয়েছে। কোনও রাজ্যে ভ্যাকসিন মজুত নেই, সেরকম তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই।
১লা মে থেকে শুরু হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। যার ফলে ভ্যাকসিনের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে এখনও সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি ভ্যাকসিনের অভাবে। এখন সবার একটাই প্রশ্ন ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত আছে তো! সম্প্রতি এক মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশিত হয় কেন্দ্র সরকার কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য নতুন করে অর্ডারই করেনি। চলতি বছর মার্চেই নাকি শেষবার ভ্যাকসিন উৎপাদক দুই সংস্থার কাজে অর্ডার করেছিল কেন্দ্র। সেবার নাকি ১০ কোটি কোভিশিল্ড ও ২ কোটি কোভাক্সিন অর্ডার করেছিল কেন্দ্র। সেই রিপোর্টে বলা হয়, দেশজুড়ে এর মাঝে টিকার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হলেও, দেশে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বাড়লেও নাকি এরপর আর ভ্যাকসিন অর্ডার করেনি কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখ মে, জুন ও জুলাই মাসের জন্য ১৭৩২.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর বদলে ১১ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড পাবে কেন্দ্র, যার মধ্যে ৫৮ লক্ষ ডোজ আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্যগুলিকে সরবরাহ করা হবে। মে মাসের তিন তারিখ অর্থাৎ সোমবারের মধ্যে ১০ কোটি কোভ্যাক্সিন পাওয়ার কথা কেন্দ্রের।
এদিকে, সোমবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হল পয়লা মে থেকে দেশের ১৮-৪৪ বছরের মধ্যে নাগরিকদের টিকাদানের কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১২টি রাজ্যে। আগামী দিনে বাকি রাজ্যেও এটি শুরু হচে চলেছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে দেশের হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদার জোগান দিতে ১৫০০ পিএসএ অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টের উন্নতিকরণের কাজ হচ্ছে। নাইট্রোজেন প্ল্যানগুলিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট করার কাজও চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে যথেষ্ট অক্সিজেন আছে। এদিকে আগামিকাল, মঙ্গলবারের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে এসে যাচ্ছে ২০৫ টন অক্সিজেন এক্সপ্রেস। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা ও ওড়িশার রাউরকেল্লা, আঙুলিও পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন।