২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আশায় বুক বেঁধেছিল করসেবকপুরম। কিন্তু প্রথম মোদী সরকারের তিন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের কোনও উদ্যোগ না দেখা যাওয়ায় হতাশা জন্মেছিল করসেবকদের মধ্যে। তাই গত প্রায় দেড় বছর ধরে 'অখন্ড পথ' গ্রহণ করেছিল করসেবকপুরম। অর্থাৎ দিন-রাত মাইকে সীতা-রাম'এর নাম জপ করা হত।
আরও পড়ুন - রাম তাঁদেরও পূর্বজ, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণে এগিয়ে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা
আরও পড়ুন - রামমন্দিরের স্বপ্নে ২৭ বছর ধরে চা আর কলা খেয়ে আছেন বৃদ্ধা, রায়েও ভাঙল না তপস্যা
এই অখণ্ড পথ ছিল আরএসএস-ভিএইচপি'র অখণ্ড ব্রতের অংশ, যা শুরু করা হয়েছিল সেই ১৯৯০ সালে। গত শনিবার (৯ নভেম্বর) অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার হয়। ওইদিনই ভঙ্গ করা হয় অখণ্ড পথ। থেমে যায় মাইকে সীতা-রাম নাম জপ।
তারপর থেকে সাতদিন কেটে গিয়েছে। করসেবকরা গত দেড় বছর ধরে সীতা-রাম'এর নাম শুনতে শুনতেই কাজ করতেন। গত সাতদিন ধরে তাঁরা, এই নাম জপের অভাব বোধ করছেন। তবে রামমন্দির নির্মাণ নিশ্চিত হওয়ায় এখন দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ করছেন তাঁরা।
ভিএইচপি-র মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন গত শনিবার অখণ্ড পথ ভঙ্গ করার পর বিকেলে করসেবকপুরমের পাথরের চাঁই ও তৈরি হওয়ার ভিতগুলির উপরে করসেবকরা প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। ওই দিন থেকে গত সাতদিন ধরে এখানে প্রদীপ জ্বালানো হচ্ছে। কারণ রামমন্দির-এর রায় বের হওয়ার পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন এই স্থানে।
আরও পড়ুন - মুসলিম কারিগরের হাতে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রকাণ্ড ঘন্টা
আরও পড়ুন - কারা নির্মাণ করবেন রামমন্দির, যোগীকে মাথায় রেখে তৈরি ব্লু প্রিন্ট
শরদ শর্মা জানিয়েছেন, গত শনিবারই প্রায় এক হাজার মানুষ এসেছিলেন করসেবক পূরমে। দুদিন পরই এই সংখ্যাটা পৌঁছে যায় পাঁচ হাজারে। তারপর থেকে এই সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি লোক হয়েছিল কার্তিক পূর্ণিমার দিন। এই,আগত দর্শনার্থীদের কথা ভেবেই সামনের আরও বেশ কয়েকটা দিন করসেবকপুরমে প্রদীপ জ্বালা হবে।