২১ শতকে এসে ভারতীয় নারী আর ঠিক কতটা অপমান আর নির্যাতন সহ্য করবে? আবারও এই প্রশ্নটা উঠে গেল। কারণ হরিয়ানায় প্রায় এক বছর ধরে নিজের বিয়ে করা স্ত্রীকে বাড়ির শৌচাগারে বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। রিষপুর গ্রাম থেকে মহিরা সুরক্ষা দলের প্রধান ও তাঁর দলবল রীতিমত অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে উদ্ধার করেছে রজনী গুপ্তকে। উদ্ধারকারী জানিয়েছেন তিনি বেশ কয়েকদিন আগেই তিনি এই তথ্য পেয়েছিলেন যে মহিলাকে তাঁর স্বামী বন্দি করে রেখেছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে তারপরই দলবল নিয়েই তিনি রজনীকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন।
নির্যাতিতা মহিলার স্বামীর দাবি রজনী মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁকে ঘরে থাকতে বললেও তিনি নাকি তাতে রাজি হতেন না। শৌচাগারেই দিনরাত পড়ে থাকতেন। একাধিকবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতার স্বামী। যদিও উদ্ধারকারী জানিয়েছেন রজনী মানসিকভাবে অসুস্থ কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে নির্যাতিতা মহিলা বর্তমানে শারীকভাবে কিছুটা হলেও দুর্বল। তাঁকে উদ্ধারের পর ভালো করে স্নান করানো হয়েছে। পরিষ্কার জামাকাপড়ও পরানো হয়েছে।
করোনার প্রতিষেধক সংরক্ষণে কোল্ড হাব, সংগ্রহ থেকে টিকা প্রদানের জন্য তৈরি ব্লু প্রিন্ট ...
করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিচের দিকে, স্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল সুস্থতার হার .
স্ত্রীকে শৌচাগারে আটকে রাখার অভিযোগে ইতিমধ্যেই স্বামী নরেশ গুপ্তকে আটক করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি প্রোটোকল মেনেই রজনীর বিষয়ে আগামী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান হয়েছে। তবে প্রথমেই উদ্ধার হওয়ার মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। রজনীকে যে দলটি উদ্ধার করেছে সেই দলটি পানিপথ এলাকায় মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ অটানোরও কাজ করে। আর দুটি বিষয় নিয়ে প্রচারও চালায়।