পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপকদের তালিকা দেখুন, নাম রয়েছে চিকিৎসক থেকে খেলোয়াড়দেরও

বিলাসপুরের আপেল সম্রাট হরিমান শর্মাকেও এবার পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিনি এক লাখ কৃষককে আপেল চাষের কৌশল শিখিয়েছেন।

অরুণাচল প্রদেশে আসক্তিমুক্তির নায়ক জুমদে ইয়োমগাম গ্যামলিনকে তার সামাজিক কাজের জন্য পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে। তিনি মাদার ভিশন নামে একটি 30 শয্যার আধ্যাত্মিক আসক্তি মুক্ত কেন্দ্র পরিচালনা করেন।

কাইথালের একলব্য নামে পরিচিত প্রতিবন্ধী তীরন্দাজ হরবিন্দর সিংকেও পদ্মশ্রী দেওয়া হবে। হরবিন্দর, যিনি হরিয়ানার বাসিন্দা, প্যারালিম্পিকে সোনা জেতা প্রথম হরিয়ানভি। তিনি একজন মোটিভেশনাল স্পিকারও বটে।

নিমারীর ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত লেখক জগদীশ জোশিলাকেও পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে। নিমারী সাহিত্যের জন্য তিনি চমৎকার কাজ করেছেন।

দিল্লির AIIMS-এর অবসরপ্রাপ্ত গাইনো, ডাঃ নীরজা বাথলাও পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হবেন৷ জরায়ু মুখের ক্যান্সারে অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। অবসরের পরও তিনি ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়োজিত রয়েছেন।

হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক ও নাড়ি বিশেষজ্ঞ বিলাস ডাংরে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হবেন। তিনি 50 বছর ধরে এক লাখেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা করেছেন।

ভীম সিং ভাভেশ হলেন ভোজপুর, বিহারের একজন সাংবাদিক যিনি মুসাহারদের উন্নয়নের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মুসহরদের সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে।

কর্ণাটকের ৮১ বছর বয়সী গোন্ধালি লোকগায়ক ভেঙ্কাপ্পা আম্বাজি সুগাতেকর পদ্মশ্রী পাবেন। যাযাবর সমাজের ভেঙ্কাপ্পাকে বলা হয় গোন্ধালীর ভীষ্ম। তিনি ১০০০টিরও বেশি গোন্ধালি গান গেয়েছেন এবং ১৫০টিরও বেশি গল্প বলেছেন।

নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা কৃষক এল হ্যাংথিংকেও এবার পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে। নকলকের ফ্রুটম্যান হিসেবে পরিচিত হ্যাংথিং একজন প্রগতিশীল ফল চাষী।

মালওয়ার নির্গুণ গায়ক ভেরু সিং চৌহানকে তার পাঁচ দশকের লোকগান এবং ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের জন্য পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে। মালওয়া সংস্কৃতি এবং নির্গুণ ভজনে তাঁর অবদান এই অঞ্চলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল।

কুয়েতে যোগব্যায়াম প্রচারে নিযুক্ত শেখ এজে আল সাবাহকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হবে। আল সাবাহ, যোগের শেখা নামে পরিচিত, কুয়েতে একটি যোগ স্টুডিওর জন্য প্রথম লাইসেন্স পেয়েছে।

এবার পদ্মশ্রীর তালিকায় রয়েছেন সিকিমের বাসিন্দা নরেন গুরুংও। নেপালি গানের গুরু গুরুংকে সিকিমিজ নেপালি লোক সঙ্গীত ও নৃত্যে অবদানের জন্য সম্মানিত করা হচ্ছে।

লোকসংগীত থাভিল সংরক্ষণে অবদানের জন্য পুদুচেরির পি দ্যাচানামূর্তিকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে। তিনি থাভিল যন্ত্রের একজন বিশেষজ্ঞ। ১৫ বছর বয়স থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫ হাজারের বেশি পারফরমেন্স দিয়েছেন তিনি।

ব্রাজিল-ভিত্তিক হিন্দু আধ্যাত্মিক গুরু জোনাস ম্যাসেটিকেও পদ্মশ্রী দেওয়া হবে। তিনি ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা, দর্শন এবং সংস্কৃতির প্রচারের জন্য ক্রমাগত অবদান রেখে চলেছেন। 2015 সালে, তিনি রিওতে বিশ্ব বিদ্যা প্রতিষ্ঠা করেন এবং বেদান্ত এবং শ্রীমদ্ভাগবত গীতা শেখান।