সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গি গত ১৫ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিল। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল দিল্লি পুলিশ।
দিল্লির লক্ষ্মী নগর (Delhi's Laxmi Nagar) থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গি (suspected Pakistani terrorist) গত ১৫ বছর ধরে (last 15 years) অর্থাৎ ২০০৬ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছিল। তদন্তে (investigation) নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল দিল্লি পুলিশ(Delhi Police)। তদন্তে জানা গেছে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তিনি প্রথমে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে দাবি করেন যে তিনি একজন মহিলার সঙ্গে বসবাস করতেন এবং তারপর তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। ওই মহিলা ভারতীয় ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁর দাবিগুলি দিল্লি পুলিশ যাচাই করছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে মহম্মদ আশরফ নামের ওই পাকিস্তানি জঙ্গিকে ১৪দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত। পুলিশের তথ্য অনুসারে, ধৃত জঙ্গি একজন ধর্মপ্রচারক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়েছিল। সে জাদুবিদ্যা চর্চা করত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সে ঘুরে বেড়াত মৌলভী পরিচয় দিয়ে।
এদিকে, অভিযুক্তের ফোনে পাকিস্তানের আইএসআই -এর বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তাকে ভারতে বড় হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সন্দেহভাজন পাকিস্তানি নাগরিক, যিনি জাল নথির মাধ্যমে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল, তার নাম আসলে মহম্মদ আশরাফ। আশরাফ ওরফে আলী, সে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর আশরাফের ভারত সফরের উদ্দেশ্য, ভারতীয় পরিচয়পত্র জোগাড়, অস্ত্র কেনা- সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে এখনও জেরার প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তকারীদের মূল লক্ষ্যই হল আশরাফ কোথা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল তা খতিয়ে দেখা।কোন জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সে কাজ করত তা জানারও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
সন্দেহভাজনকে ইউএপিএ আইন, বিস্ফোরক আইন এবং অস্ত্র আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, একটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৬০ রাউন্ড ম্যাগাজিন, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ও ২টি অত্যাধুনিক পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আশরাফের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ আইন, বিস্ফোরক আইনসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।