প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন আজকাল মানুষ মানবাধিকারকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছে যা তাদের উপকার করে। কিন্তু যখন এই ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিক লেন্স দিয়ে দেখা হয়, তখনই অধিকারগুলি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করে।
মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) বার্ষিকী অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) নাম না করে নিশানা করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। তিনি বলেন, 'বাছ বিচার করে মানবাধিকারের ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়।' তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ রয়েছে যাঁরা একটি বিশেষ ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেন। কিন্তু তাঁরা অন্যদের ক্ষেত্র যখন একই জিনিস তখন তারা সেটিকে উপেক্ষা করে চলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,' কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নাম করে দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।' একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন আজকাল মানুষ মানবাধিকারকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছে যা তাদের উপকার করে। কিন্তু যখন এই ঘটনাগুলিকে রাজনৈতিক লেন্স দিয়ে দেখা হয়, তখনই অধিকারগুলি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করে। তাঁর কথায় এধরনের মানষিকতা মানবাধিকারের ধরনাকেই রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত করে। মানবাধিকারকে রাজনীতিতে থেকে সর্বদা দূরে রাখা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন স্বাধীনতার আগে থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত মানবাধিকারের বিষেয়ে বিশেষ সংবেদনশীল।
Pak Terrorist: সপ্তমীর সকালে গ্রেফতার অস্ত্রসহ পাক-জঙ্গি, নবরাত্রিতে হামলার পরিকল্পনা বানচাল
Covid Vaccine: উৎসবের মধ্যেই সুখবর, করোনা রুখতে ২-১৮ বছরের শিশুদের টিকায় অনুমোদন
Clean India Drive: নিজে হাতে সাফাই অভিযান অনুরাগ ঠাকুরের, লক্ষ্য ৭৫ কিলো আবর্জনা সংগ্রহ করা
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সরকারের সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই স্লোগান বা কর্মসূচি সকলের জন্য মানবাধিকার মৌলিক নীতির প্রতিফল। এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান অরুণ মিশ্র উপস্থিত ছিলেবন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন যুগ শুরু করার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন আন্তর্জাতিক বাহিনীর নির্দেশে ভারতের ওপর মানবাধিকার সঙ্ঘনের অভিযোগ করা এখন একটা নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। তিনি মূলত কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্র সংঘেরের বক্তব্যেরই সমালোচনা করেছেন। কারণ কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারির করার পর মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছিল বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্র সংঘ।