
India-Pakistan Tension: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজন ক্রমশই বাড়ছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পাল্টা ভারতের অপারেশন সিন্দুর যথেষ্টই সফল। এই অপারেশনের মাধ্য়মে ভারত পাকিস্তান আর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লস্কর, জইশ সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের জঙ্গি তৈরির ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানও ভারতের সীমন্তে এলাকায় একাধিক হামলা চালিয়েছে। ভারতও তার জবাব দিয়েছে। তবে সম্প্রতি যে খবর পাওয়া গেছে তা হল পকিস্তনের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের এইচকিউ-৯ বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারসহ বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারতের অপারেশন সিন্দুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের ভেতরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিচালক (আইএসপিআর) জানিয়েছেন, হামলার সময় ছয়টি স্থানে বিভিন্ন অস্ত্রের ২৪টি আঘাতের খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার ভারত নিশ্চিত করেছে যে তারা উত্তর ও পশ্চিম ভারতে ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে উত্তেজনা বৃদ্ধির পাকিস্তানের সর্বশেষ প্রচেষ্টার কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছে। দ্রুত এবং সুশৃঙ্খল প্রতিক্রিয়ায়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী লাহোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সহ একাধিক স্থানে পাকিস্তানি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে আঘাত করে এবং নিস্ক্রীয় করে।
সরকারের মতে, পাকিস্তান গত রাতের শেষের দিকে এবং বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং গুজরাটের কৌশলগত সামরিক অবস্থানগুলিকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাডারে থাকা ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে ছিল শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়। তবে, ভারতের শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের হামলা প্রতিহত করেছে। পাল্টা পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর নেটওয়ার্কও বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের এই হামলার জবাবে, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর উপর হামলা চালায়। সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, "আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায়। ভারতের প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের মতো একই তীব্রতার সঙ্গে একই ক্ষেত্রে হয়েছে। নির্ভরযোগ্যভাবে জানা গেছে যে লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।"
পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যা এখনও যাচাই করা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একটি ভুল তথ্যের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এটি মিথ্যা ও ডিজিটাল নাটকের মাধ্যমে মনোযোগ সরানোর পাকিস্তানের মরিয়া প্রচেষ্টা দেখায়। পাকিস্তানের রাষ্ট্র-অনুমোদিত অ্যাকাউন্টগুলি তাদের পরিচিত কৌশল অবলম্বন করেছে - পুরনো ছবি পুনর্ব্যবহার, পুরনো ভিডিও ভুলভাবে উপস্থাপন এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি তৈরি করে তথ্যের জগতে মিথ্যাকে এত দ্রুত এবং অপ্রতিরোধ্যভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির এই ভুল তথ্য প্রচারকে উন্মোচন করেছে, যারা স্পষ্টতই বাস্তবতা থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে। ফ্যাক্ট চেক ইউনিট আজ পাকিস্তানের পাঞ্জাবের অমৃতসরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার আরেকটি মিথ্যা বর্ণনা উন্মোচন করেছে, দাবি করেছে যে বর্ণনাটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
ভারতের এই কঠোর প্রত্য়াঘাতের মুখে দাঁড়িয়ে কিছুটা হলেও দিশেহারা পাকিস্তান। গুলি চালাচ্ছে সীমান্ত এলাকায়। পাকিস্তান কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার, রাজৌরি সেক্টর সহ একধিক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় গুলি চালাচ্ছে। মর্টার ও ভারি কামান ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের এই হমলায় ১৪ জন ভারতীয় সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েছে পাকিস্তান আক্রমণ করলে ভারত পাল্টা যোগ্য জবাব দেবে।