'আরোগ্য সেতু'-ও জাল করল পাকিস্তান, ভারতীয় গোয়েন্দারা জানালেন নেপথ্যের চক্রান্ত

'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ্লিকেশন-ও নকল করল পাকিস্তান

ভারতীয় সেনা ও আধাসেনাকে সতর্ক করল গোয়েন্দা বিভাগ

কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়ার জন্যই কি এই কাজ করল তারা

গোয়েন্দারা বলছেন এর কারণটা অন্য

 

amartya lahiri | Published : Apr 29, 2020 6:15 PM IST

'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ্লিকেশন - অর্থাৎ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে সচেতনতা গড়ে তোলা ও সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য ভারতের সরকার যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করেছে সেই অ্যাপটিই জাল করা হয়েছে পাকিস্তান থেকে। বুধবার, এমনই দাবি করল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। না, কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ভারতের এই অ্যাপ নকল করেনি পাকিস্তান, গোয়েন্দা সূত্রের দাবি সেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য চুরি করাটাই এর পিছনে লক্ষ্য।

আর তাই, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভারতীয় সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনীকে এই নকল পাকিস্তানি 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ্লিকেশনটি সম্পর্কে এদিন বিশেষভাবে সতর্ক করল। তাদের দাবি, এই ভুয়ো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার লিঙ্ক, ভারতীয় সেনা ও আধাসেনা সদস্যদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএস, ইমেল বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে পাঠানো হতে পারে। তাই সেনা ও আধাসেনার সদস্যদের শুধুমাত্র 'মাইগভ ডট ইন' ওয়েবসাইট থেকে বৈধ লিঙ্কের মাধ্যমেই 'আরোগ্য সেতু' অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে বা ইমেলে সন্দেহজনক লিঙ্কগুলি ক্লিক না করতে। ফোন থেকে ইমেল করার সময়ে চরম সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ফোনে একটি ভালো মানের অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ্লিকেশনের সর্বশেষ সংস্করণ রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে, ভুল করে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে ফেললেও সামাল দেওয়া যেতে পারে।

কীভাবে এই ভুয়ো আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য হাতানোর চেষ্টা হচ্ছে? গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, ইনস্টলেশন চলাকালীন জাল অ্যাপটি ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ ডাউনলোডের অনুমতি দিতে বলে। সেই অনুমটি পেলেই তারপরে ব্যবহারকারীর অজান্তেই তার মোবাইল বা কম্পিউটারে কিছু ক্ষতিকর লিঙ্ক বা ভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায়।

পরে ওই ভাইরাসগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ফোনে পাক হ্যাকার নজরদারি চালাতে পারবেন। হ্যাকার-এর কাছে ফোনে থাকা যাবতীয় তথ্য চলে যাবে। এমনকী ফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কখনো কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন তাও পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফোন থেকে উদ্ধার করা তথ্যগুলি এরপর পাঠিয়ে দেওয়া হবে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে এই অ্যাপটির কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সার্ভারটি আছে নেদারল্যান্ডসে।

Share this article
click me!