জম্মু কাশ্মীরের শান্তি নষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিচ্ছে পাকিস্তান, অনবরত অনুপ্রবেশের চেষ্টা সীমান্তে

পাকিস্তান কাশ্মীর সংহতি দিবসের বিষয়ে একটি মোডাস অপারেন্ডি তৈরি করেছে এবং একটি টুল কিট প্রকাশ করেছে। এতে কিছু লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে বিদেশে বসে পাকিস্তান মিশনের কর্মকর্তারা প্রচার সামগ্রী (ভিডিও) আপলোড করতে পারবেন।

পাকিস্তান এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তের ওপারে বসে সন্ত্রাসবাদের মাস্টারমাইন্ডরা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি নষ্ট করার জন্য ক্রমাগত ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের মতো উপলক্ষ্যে এ জাতীয় প্রচেষ্টা প্রায়শই সামনে আসে। এবারও পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন দেশে বসে তাদের দূতাবাসকে কাশ্মীর সংহতি দিবস উদযাপনের জন্য একটি চিঠি জারি করেছে, যেখানে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জাতীয় উপলক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার চালাচ্ছে।

সূত্রের মতে, পাকিস্তান কাশ্মীর সংহতি দিবসের বিষয়ে একটি মোডাস অপারেন্ডি তৈরি করেছে এবং একটি টুল কিট প্রকাশ করেছে। এতে কিছু লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে বিদেশে বসে পাকিস্তান মিশনের কর্মকর্তারা প্রচার সামগ্রী (ভিডিও) আপলোড করতে পারবেন।

Latest Videos

তথ্য অনুযায়ী, এই টুল কিটটি ইসলামাবাদ থেকে জারি করেছেন মোহাম্মদ উমাইর শাকুর (সহকারী পরিচালক কাশ্মীর বিষয়ক)। কাশ্মীর সোসাইটি অর্গানাইজেশনের সভাপতি ফারুক রেঞ্জু শাহ বলেছেন যে পাকিস্তানের স্থল সমর্থন এখানে শেষ হয়ে গেছে।

পাকিস্তান জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে তাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মতো প্ল্যাটফর্মের সাপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলি সময়ে সময়ে এমন ঘৃণ্য প্রচেষ্টা করছে। বিজেপি নেতা মঞ্জুর ভাট বলেছিলেন যে পাকিস্তানের ক্ষোভের জন্যই তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। এই ক্ষোভ কূটনীতি দিয়ে মেটাতে হবে।

পাকিস্তান নিজেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করছে। এ সময় তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। ভাট বলেন, পাকিস্তান সবসময় কাশ্মীরের পরিস্থিতি নষ্ট করতে তৎপর, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সফল হতে পারেনি। তিনি বলেন, কাশ্মীরে G-20 সভা অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের মুখে একটি বড় থাপ্পড়।

এর আগে জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত জঙ্গিদেরহ কাছে ইউবিজিএল রাউন্ড (আন্ডার-ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার) এবং ম্যাগনেটিক বোমা সহ অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি স্থানীয় নেটওয়ার্ক বজায় রেখেছিল। জম্মু অঞ্চলের এই দলের নেতা ছিলেন পাকিস্তানি হ্যান্ডলার সাজ্জাদ গুল। সীমান্তের ওপার থেকে আসা ড্রোনের (হেক্সাকপ্টার) মাধ্যমে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কখন কোথায় ফেলা হবে তা তিনি ঠিক করতেন। দলটি সফলভাবে ড্রোনটি দখল করলে, অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলি কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। NIA বৃহস্পতিবার জম্মুর একটি বিশেষ আদালতে এই মামলায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

ধান কাটা নিয়ে রণক্ষেত্র Basanti! প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, ছুটে আসল পুলিশ
'আমরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না Yunus' চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারিতে চরম হুঁশিয়ারি Agnimitra-র
রান্না করতে গিয়েই ঘটলো বিপদ! চোখের পলকে ছাই হয়ে গেলো সব, শোকের ছায়া Budge Budge-এ | South 24 Pargana
'বাংলাদেশের তালিবান ইউনূস হুঁশিয়ার' চরম হুমকি শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Bangladesh
Suvendu Adhikari Live: সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি