আবারও চোরা পথে অস্ত্র পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। এবার আরও একবার হাতে নাতে ধরা পড়গেল। গত ১৯ ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে একটি ড্রোনের মাধ্যমে হ্যান্ড গ্রেনেড পাঠাচ্ছিল নির্দিষ্ট গন্তব্যে। কিন্তু পঞ্জাবের গুরুদাসপুর সীমান্ত এলাকায় পুলিশ ও যৌথ নিরাপত্তাবাহিনী সেগুলি আটক করে। আটক করা হয় পাকিস্তানের ড্রোনটিকেও। তারপর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকা চকরি পোস্টের কাছে প্রায় ১১টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সীমান্তের প্রায় ১ কিলোমিটার ভিরতে ড্রোনের মাধ্যমে পাঠান অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গুরুদাসপুরের দোরাঙ্গালা থানার অন্তর্গত একটি মাঠের মধ্যে ১১টি হ্যান্ড গ্রেনেডের একটি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় প্রশাসন। গ্রেনেডগুলিতে আরজিএস চিহ্ন ছিল। যা পাকিস্তানে তৈরি প্রায় সবকটি গ্রেনেডেই পাওয়ায়। উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড ইস্যুতে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশ একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সীমান্ত মাদক অস্ত্র পাচারের জন্য ড্রোন ব্যবহার করে একটি মডিউলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। খালিস্তানপন্থীদের তাদের যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। আর সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল লখবীর সিং ওরফে লাখা এবং বাচ্চিতর সিং নামে দুজনকে। মাদক পাচারের অভিযোগে বর্তমানে তারা অমৃতসর কারাগারে বন্ধি রয়েছে। তবে তাদের আরও চার সহযোগীকে খুঁজে বার করতে চাইছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর বন্দি অবস্থায় থাকা দুই অভিযুক্তই আরও চার সহযোগীর সঙ্গে বেশ কয়েক দিন ধরে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে চলছিল। পুলিশ মনে করছে বাকিরাই হ্যান্ড গ্রেনেডগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।