পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর নেটওয়ার্কে কাশ্মীরি মহিলা ও শিশুদের ব্যবহার? ভারতীয় সেনার হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Published : Jun 12, 2023, 03:52 PM IST
ISI training Rohingya muslims to be terrorists to attack India

সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের নাম না নিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আউজলা বলেন, চ্যালেঞ্জ হল প্রতিবেশী দেশটি তার উদ্দেশ্য থেকে সরে আসেনি এবং বারবার পীর পাঞ্জালের উভয় দিকে সমস্যা তৈরি করছে।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধানদের অস্ত্র ও বার্তা বহন করার জন্য মহিলা ও শিশুদের ব্যবহার করার চক্রান্ত চলছে। কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের মধ্যে এই যোগাযোগ বাড়াতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর পেয়েছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগরের ১৫ কর্পস বা চিনার কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি), লেফটেন্যান্ট জেনারেল অমরদীপ সিং আউজলা বলেছেন যে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) জুড়ে বসে থাকা অনুপ্রবেশকারীরা কাশ্মীরের বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে।

গোটা উপত্যকা জুড়ে এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আউজলা পিটিআইকে বলেছেন যে 'দিন কয়েক ধরেই এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি কাশ্মীর উপত্যকার মহিলা, এবং কিশোর-কিশোরীরা গোপন তথ্য, মাদক বা কখনও কখনও অস্ত্র সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত, সেনাবাহিনী কয়েকটি কেস হাতে পেয়েছেন, যা এই ধরণের প্রবণতাকে চিহ্নিত করছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল বলেন যে 'এটি বেশ বড় বিপজ্জনক প্রবণতা যা পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এবং তানজিমের (জঙ্গি গোষ্ঠী) প্রধানদের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা অন্যান্য সংস্থার সাথে এটি সমাধানের জন্য কাজ করছি। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো মোবাইল যোগাযোগের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে সামরিক কর্মকর্তা বলেন, প্রযুক্তিগত পর্যায়ে এই বিষয়ে প্রমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এছাড়াও, জঙ্গিদের বার্তাবাহক হিসাবে কাজ করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সেনা আধিকারিক বলেন যে 'এখন মহিলা কিশোর-কিশোরীদের প্রধানত বার্তা বহনের বিকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জঙ্গিদের নাশকতার ষড়যন্ত্রেপ কৌশলের অংশ হিসাবে, সেনাবাহিনী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসনের সাথে সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে একটি হল সহি রাস্তা প্রোগ্রাম যা সাম্প্রতিক সময়ে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেছিলেন "আমরা কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক দূর এগিয়েছি, কিন্তু আমি এখনই সাফল্য দাবি করব না। কারণ আমরা মনে করি যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনের আগে প্রতিটি ক্ষেত্রকে একত্রিত করতে হবে"।

পাকিস্তানের নাম না নিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আউজলা বলেন, চ্যালেঞ্জ হল প্রতিবেশী দেশটি তার উদ্দেশ্য থেকে সরে আসেনি এবং বারবার পীর পাঞ্জালের উভয় দিকে সমস্যা তৈরি করছে। উত্তর কাশ্মীরের মাচিল সেক্টরে সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের চেষ্টা তার প্রমাণ।

তিনি জোর দিয়েছিলেন যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন সহ সমস্ত সুরক্ষা সংস্থাগুলি শত্রুর যে কোনও ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে। "কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের কিছু হ্রাস দেখেছে, তবে পীর পাঞ্জালের দক্ষিণে পাশাপাশি প্রতিবেশী পাঞ্জাবেও এরকম কয়েকটি প্রচেষ্টা হয়েছে," সেনা কর্মকর্তা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন “আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো মূল্যে আমাদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করব না। জাতীয় নিরাপত্তা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। এটা বজায় রাখতে আমরা কোনো কসরত ছাড়ব না।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি