সীমা হায়দার আর অঞ্জুর পর ভারতীয় উপমহাদেশে আন্তঃসীমান্ত সম্পর্ক রীতিমত আগ্রহের বিষয়ে হয়ে উঠেছিল। এবার আসি নতুন প্রেমের গল্পে। করাচির বাসিন্দা আমিনা। ভারতের আরবাজ খানকে ভালবেসেছিলেন।
অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে রীতিমত নাজেহাল হয়েছেন সীমা হায়দার। থানা পুলিশের চক্কর কাটতে হচ্ছে। কিন্তু এবার পাকিস্তানের মহিলা প্রেমের টানে কাঁটাতারের বেড়া অবৈধভাবে পার করার চেষ্টাও করলেন না। ভিসা না পেয়ে নিয়ে পাকিস্তানে বসেই ভারতের প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে সেরে নিলেন। ভার্চুয়ালি বিয়ে করেন যোধপুরের প্রেমিকের সঙ্গে।
সীমা হায়দার আর অঞ্জুর পর ভারতীয় উপমহাদেশে আন্তঃসীমান্ত সম্পর্ক রীতিমত আগ্রহের বিষয়ে হয়ে উঠেছিল। যাইহোক এবার আসি নতুন প্রেমের গল্পে। করাচির বাসিন্দা আমিনা। ভারতের আরবাজ খানকে ভালবেসেছিলেন। তাঁরা প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার জন্য বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের আমিনা ভারতের আসার ভিসা পাননে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল তাঁর প্রেম। কিন্তু দমার পাত্র নন আমিনা আর আরবাজ। তাঁরা বাদা উপেক্ষা করার জন্য তাঁরা ভার্চুয়ালি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
অনলাইনে বিয়ে করেন আরবাদ আর আমিনা। আরবাজ রাজস্থানের যোধপুরের বাসিন্দা। তিনি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরবাজের পরিবার আর বন্ধুবান্ধব। কাঁটাতারের বাঁধন আর দূরত্ব উপেক্ষা করে অনলাইনে বিয়ে বা নিকাহার সমস্ত ঐতিহ্য মানা হয়েছিল। যোধপুরের এক কাজী ভার্চুয়াল নিকাহ পরিচালন করেন। তিনি সুখী দাম্পত্যের জন্য দুজনকে আশীর্বাদও করেন।
বিয়ের পর আরবাজ জানিয়েছেন, পাকিস্তানে তাদের যে আত্মীয়রা রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের জন্য অনলাইনকেই বিয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। বিয়ের পর আমিনা ভারতের আসার ছাড়পত্র ভিসা পাবেন বলেও আশাবাদী আরবাজ।
ভিসার জন্য আটকে রয়েছে আমিনা আর আরবাজের মিলন। তাঁরা দুজনে আর পরিবারের সদস্যরা আশা করছেন আমিনা ভিসা পাবেন। যোধপুরের বর আর করাচির কনে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের জন্য আশাবাদী। অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন কবে ভারতে এসে দুজনে শারীরিকভাবে মিলিত হবেন।
সম্প্রতি সীমা প্রেমের টানে পাকিস্তান ছেড়ে অবৈধবাবে ভারতে এসেছেন। আর ভারতের অঞ্জু পরিবার স্বামী সন্তান ছেড়ে বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে গিয়ে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। এদের দুজনের থেকে কিছুটা হলেও আলাদা আমিনার প্রেম। আমিনা আর আরবাজ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ভার্চুয়ালি বিয়ে করেন। তাঁরা একে অপরকে দীর্ঘদিন ধরেই ভালবাসতে। কিন্তু আমিনা ভিসা না পাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে দুজনেই আশাবাদী ভিসা নিয়ে।