কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'আমি হাউসে মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমি বিরোধীদের অনুরোধ করছি এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করুন
বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উত্তাল সংসাদ। এদিনও সংসদ উত্তপ্ত হয় মণিপুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে। বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি দাবি করে ক্রমাগত স্লোগান দিতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা অধিবেশন মুলতবি করে দেন। যদিও এদিনও সংসদে আমিত শাহ জানান সরকার মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
অমিত শাহ এদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'আমি হাউসে মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমি বিরোধীদের অনুরোধ করছি এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করুন। এটা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্পর্শকাতর বিষয়ে সত্য জানার জন্য আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।' কিন্তু বিরোধীরা তারপরেও শান্ত হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুর ইস্যুতে সংসদে আলোচনা করতে চাইলেও প্রযুক্তিগতক কারণে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। কারণ বিরোধীরা মণিপুর ইস্যু নিয়ে ২৮৭ বিধির অধীনে আলোচনা করতে চেয়েছিল। এই নিয়মের অধীনে হাইসের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত রেখে শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাতে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের জানিয়েছিল ১৭৬ বিধির অধীনে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত। এই ধারারর অধীনে আলোচনা মানে স্বল্প সময়ের জন্য আলোচনা করা। কিন্তু বিরোধীদে তাতে সায় দেয়নি। পাশাপাশি বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতিও দাবি করেছিল।
বহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রথম দিন থেকেই সংসদ উত্তাল মণিপুর ইস্যুতে। মে মাস থেকে মণিপুর উত্তপ্ত জাতিগত হিংসায়। কুকি আর মেইতিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। সম্প্রতি মণিপুরের হিংসার একাধিক ভয়ঙ্কর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে ঢোকার আগে মণিপুর ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন গোটা ঘটনা দেশের লজ্জা। কিন্তু তারপরেও শান্ত নয় বিরোধীরা। মণিপুরে হিংসা ও মহিলাদের ওপর হওয়া নির্যাতন নিয়ে রীতিমত সরব বিরোধীরা। গত কাল থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন তারা মণিপুর ইস্যুতে আলোচন করতে চান। অনুরাগ ঠাকুর বিরোধীদের কাছে হাত জোড় করে আবেদন জানিয়েছিলেন মণিপুর নিয়ে আলোচনা করার। যদিও বিরোধীরা গোটা ঘটনাকেই কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত বলে মনে করছে। তারা পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারকেই আক্রমণ করেছে।