নতুন আইনগুলি ঔপনিবেশিক যুগের নিয়মগুলিকে বদল করা হয়েছে। পরিবর্তে বর্তমান যুগ ও সময়ের উপযোগী আইন প্রনয়ণ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে, লোকসভায় তেমনই দাবি করেছেন অমিত শাহ
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের ফৌজদারি আইন মুছে দিতে নয়া উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। লোকসভায় প্রায় বিরোধী শূন্য অবস্থায় পাশ হয়ে গেল ক্রিমিনাল কোড বিল ২০২৩। এটি ঔপনিবেশিক যুগের তিনটি ফৌজদারী আইন প্রতস্থাপন করে। তিনটি আইন হল- ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (দ্বিতীয়)২০২৩ , ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (দ্বিতীয়) ২০২৩ ও ভারতীয় সাক্ষ্য (দ্বিতীয় )বিল ২০২৩। নতুন এই আইনগুলি ১৮৬০ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি ফৌজদারি কার্যবিধির কোড প্রতিস্থাপন করবে।
সাম্প্রতিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ১৪৩ জন বিরোধী সাংসদকে গত দুই দিনে বরখাস্ত করা হয়েছে লোকসভা থেকে। সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ১৭৩। তাই লোকসভার বিরোধী আসন প্রায় ফাঁকা ছিল। কার্যত ফাকা লোকসভায় বিরোধী শূন্য অবস্থায় কোনও বিশাল বিতর্ক ছাড়াই পাশ হলে গেল গুরুত্বপূর্ণ ক্রিমিনাল কোড বিল।
নতুন আইনগুলি ঔপনিবেশিক যুগের নিয়মগুলিকে বদল করা হয়েছে। পরিবর্তে বর্তমান যুগ ও সময়ের উপযোগী আইন প্রনয়ণ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে, লোকসভায় তেমনই দাবি করেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেন, বিলগুলি ভারতীয়,ভারতীয় সংবিধান ও জনগণের কল্যাণের ওপর জোর দিয়ে করা হয়েছে। আমিত শাহ এদিন বিল পেশের সময় অমিত শাহ বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্যই তিনটি বিল আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ব্রিটিশ আমলের দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে ফেলার জন্যই বিলগুলি আনা হয়েছে। অমিত শাহ আরও বলেন, স্বাধীনতার পর একমাত্র মোদী সরকারও ভোট দেওয়ার আগে সমস্ত প্রতিশ্রুতি পুরণ করে চলেছে।