শৌচালয়ের ভিতর থেকে ভয়ার্ত আর্তনাদ শোনা যেতে থাকে। বোঝা যায় যে, একজন যাত্রী বাথরুমের ভিতরে আটকা পড়ে গেছেন, কিছুতেই দরজা খুলতে পারছেন না।
সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য সকল যাত্রীদের সঙ্গে বিমানে চড়েছিলেন যাত্রী। মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরুর দিকে রওনা দিয়েছিল প্লেন। কিন্তু, আচমকা শৌচকার্য করার দরকার পড়তেই ঘটল চরম বিপদ। বিমানের শৌচালয়ের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে রইলেন এক যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, স্পাইস জেট (SpiceJet) সংস্থার একটি বিমানে।
-
মুম্বই বিমানবন্দর থেকে থেকে বেঙ্গালুরুর কেম্পে গৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ( KIA ) রওনা হয়েছিল স্পাইস জেটের SG- 268 নম্বর বিমানটি। সোমবার রাত ১০ টা বেজে ৫৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি দেরি হয়ে ছেড়েছিল রাত ২টোর সময় (অর্থাৎ, মঙ্গলবার) । বিমান ওড়া শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে যখন যাত্রীদের নিজস্ব সিটবেল্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তখন ১৪ ডি (14D) নম্বর সিটে বসে থাকা যাত্রীর শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
-
তিনি সিট ছেড়ে উঠে শৌচালয়ের ভিতরে যান। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই শৌচালয়ের ভিতর থেকে তাঁর ভয়ার্ত আর্তনাদ শোনা যেতে থাকে। বোঝা যায় যে, ওই যাত্রী বাথরুমের ভিতরে আটকা পড়ে গেছেন, কিছুতেই দরজা খুলতে পারছেন না। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের কর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। তাঁকে বের করার জন্য বাইরে থেকে বিভিন্ন রকমের চেষ্টা করা হতে থাকে।
-
ভেতরে থাকা যাত্রী প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে বিমানসেবকদের মধ্যে একজন তাঁকে দরজার নীচ দিয়ে একটি বাদামি কাগজের ওপরে একটি চিঠি লিখে পাঠান। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, “স্যার, আমরা দরজাটা খোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা খুলতে পারিনি। আপনি আতঙ্কিত হবেন না। আমরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবতরণ কোরতে চলেছি। তাই, দয়া করে আপনি কমোডের ঢাকনাটা বন্ধ করুন এবং সেটার ওপর বসে থাকুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। বিমানের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়াররা এসে যাবেন। আপনি ভয় পাবেন না।"
এই চিঠিটি পেয়ে আটকে পড়া যাত্রী কিছুটা শান্ত হন। ভোর ৩.৪২ মিনিটে বিমানটি বেঙ্গালুরুতে নামার সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে তাঁকে বের করা হয়। সমস্ত ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যা পরীক্ষা করার জন্য ওই যাত্রীকে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।