কংগ্রেস নেতা সঞ্জীব কুমার সিং-এর দায়ের করা অভিযোগেক ভিত্তিতেই এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট। সঞ্জীব কুমারের অভিযোগ, পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়ম তাঁকে ভাগলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তেজস্বী যাদবরা।
বড়সড় বিপদে পড়তে চলেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে ও মেয়ে। পাটনা আদালত আরজেটি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব আর তাঁর দিদি মিশা ভারতীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট নিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তাঁরা ৫ কোটি টাকার মূল্যে ভোটের প্রার্থী করেছিলেন।
কংগ্রেস নেতা সঞ্জীব কুমার সিং-এর দায়ের করা অভিযোগেক ভিত্তিতেই এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট। সঞ্জীব কুমারের অভিযোগ, পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়ম তাঁকে ভাগলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তেজস্বী যাদব, মিশা ভারতী ও তাদের অনুগামীরা। সঞ্জীব কুমারের অভিযোগে নাম রয়েছে বিহারের রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি মদন মোহন ঝা, কংগ্রেস মুখপাত্র রাজেশ রাঠোর আর প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সদানন্দ সিংয়ের ছেলে শভানন্দ মুকেশেরও।
Breaking News: কংগ্রেসের দলিত তাস. পঞ্জবারে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলছেন চরণজিৎ সিং চান্নি
Afghanistan Crisis: কাবুলে প্রাণ হাতে নিয়ে দিন যাপন ৪ ভারতীয় শিক্ষকের, দেশে ফেরার করুণ আর্তি
সঞ্জীব কুমার চলতি বছর ১৮ অগাস্ট পাটনা সিজেএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে তিনি বলেন কংগ্রেসের নেতাসহ তেজস্বী যাদব ও মিশা ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকেই তাঁকে ভাগলপুরের টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তে তাঁর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। সেই সময় তাঁকে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও রাখেননি তেজস্বীরা। এদিন শুনানির পরেই পাটনা আদালত তেজস্বীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেয়।
এই ঘটনায় রীতিমত উৎসাহিত প্রতিপক্ষ নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ ও বিজেপি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আইনের হাত অনেক লম্বা। কিন্তু আরজেডি আর ঠিক কতটা নিচে নামবে সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। যদিও আরজেডি তেজস্বীদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরও বলেছেন তেজস্বী যাদবের ভাবমূর্তি খুন্ন করার জন্য এজাতীয় কাজ করা হয়েছে। মহাগঠবন্ধন কখনও ভোটের প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেয়নি বলেও দাবি করেছে আরজেডি অনুগামীরা।