শনিবার বেঙ্গালুরুতে বর্ণাঢ্য রোডশো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসকে দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ করে বলে রাজ্যের মানুষই বিজেপির হয়ে লড়াই করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার বেঙ্গালুরুতে একটি রোডশো করেন। সেখানেয়ই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কর্ণাটকের সাধারণ মানুষই বিজেপি হয়ে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবে। তিনি আরও বলেন, বেঙ্গালুরুতে তিনি যে প্রেম আর স্নেহ দেখেছেন তা আগে কখনই দেখেননি।
'শনিবার সকালে বেঙ্গালুরুর জনতা জনাধর্নের দর্শন করতে গিয়েছিলাম, এই জনগণ আমি আগে কখনই দেখিনি। এই জনগণের মধ্যে প্রেম আর ভালবাসা ছিল। আর ছিল স্নেহ', রোডশোর পর একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদীর রোডশো প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে। রাস্তার দুই ধারে ছিল বিজেপি কর্মী আর সমর্থকদের ভিড়। রাস্তার দুই ধারেই অনেকেই পরিবারের সদস্য নিয়ে এসেছিলেন। ভিড়ের মধ্যে শিশু আর মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে।
মোদী এদিন বলেন, 'আমি বেঙ্গালুরুতে যা দেখেছি তাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি, এই নির্বাচনে মোদী, বিজেপির নেতা কর্মীরা নয়, বিজেপির হয়ে লড়াই করছে কর্ণাটকের সাধারণ মানুষ। এই নির্বাচন সম্পূর্ণ মানুষের নিয়ন্ত্রণে।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া কোনও রাজ্যে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এদিনও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদী। বলেন, কংগ্রেস পার্টি ৮৫ শতাংশ কমিশনের ট্র্যাক রেকর্ড করেছিল। তারা কখনই জনগণের সেবা করার জন্য কাজ করতে পারে না। আগামী বুধবার অর্থাৎ ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। ফল প্রকাশ ১৩ মে।
গতকালই মোদী বলেন, 'দেশের দুর্ভাগ্য যে আজও কংগ্রেস এই সন্ত্রাসের ধারার সঙ্গে রয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা সমাজকে ধ্বংস করছে।' কংগ্রেসের সন্ত্রাসবাদী প্রবণতা রয়েছে, যারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে কংগ্রেস পিছনের দরজা দিয়ে রাজনৈতি চুক্তি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। উল্লেখ্য The Kerala Story নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য বিচারপতি এন নাগারেশ ও সোফি থমাসের সমন্বয় গঠিত কেরল হাইকোর্টের বেঞ্চের সঙ্গে অনেকটাই মিলে গিয়েছে। কারণ এই ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে রাজি হয়নি কেরল হাইকোর্ট।
যদিও বিরুদ্ধবাদীদের দাবি ছবিটি কাল্পনিক। আদেশটি পাশ করার সময় বিচারপতি নাগরেশ চলচ্চিত্র ট্রেলারগুলি দেখায় সময় বলেছিলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ট্রালারে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য আপত্তিকর কিছু নেই। আদালত উল্লেখ করেছে যে নির্মাতারা দাখিল করেছে তারা অপরাধমূলক টিজারটি বাদ দিয়েছেন, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে কেরলার ৩২ হাজার মহিলকে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদান করানোর জন্য জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। আর তাদের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য করা হয়েছে।