রঙের উৎসব হোলি সারা দেশ জুড়েই পালিত হয় কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মথুরা, বৃন্দাবনে হোলির আমেজটাই আলাদা। সেখানে হোলি শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকে। এবছর আগামী ১০ মার্চ মঙ্গলবার হোলি পালিত হচ্ছে। তার সাতদিন আগেই গত মঙ্গলবার ব্রজভূমিতে শুরু হয়ে গিয়েছে রঙ্গোৎসব। লাড্ডু হোলি দিয়ে যার সূচনা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: করোনার উপসর্গ আইরিশ নাগরিকের শরীরে, পালিয়েও অবশ্য শেষরক্ষা হল না বিদেশিনীর
ব্রজভূমি মথুরা, নন্দগাঁও, বৃন্দাবন ও বারসানায় ৪০ দিন ধরে দোল উৎযাপন করা হয়। ব্রজধামে প্রতিটি স্থানে হোলি খেলার স্বাদ ভিন্ন। এর মধ্যে মথুরার হোলি উৎসব আলাদা করেই বিখ্যাত। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরাতে। তাই মথুরা ধামে ধুমধামের সাথেই প্রতিবছর পালিত হয় হোলি। এর পিছনেও আছে এক ইতিহাস। রাধার সাথে প্রেম পর্ব চলাকালীন নাকি শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধিকার গায়ের রঙ দেখে নাকি ঈর্ষা করতেন। প্রায়শই তার মার কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাতেন যে তার এরকম গায়ের রঙ কেন? শুধুমাত্র গায়ের রঙে সমতা আনার জন্যই শ্রীকৃষ্ণ রাধার গায়ে রঙ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। নন্দগাও থেকে কৃষ্ণ এবং তার বন্ধুরা রাধার ও তাঁর সখিদের রঙ ছুঁড়ে দিতেন। সেই থেকে এখনও মথুরাতে একইভাবে হোলি খেলা হয়ে আসছে। এবং তার সাথে লাঠি নিয়ে নাচগান চলে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা, এবার বন্ধ হল ভারত-বাংলাদেশ 'জয়েন্ট রিট্রিট'
রাধা কৃষ্ণের লীলাকে কেন্দ্র করে আজও মথুরাতে হোলি উৎসবে মাতেন সকলে। সাতদিন আগে থেকে এই উৎসব পালন শুরু হয়। শনিবার ছিল মথিরায় 'ছাদি হোলি'। শ্রীকৃষ্ণের মাথায় ফুল দিয়ে সাজানো ছাতা ধরে সংকীর্তণে বের হন ভক্তরা। সঙ্গে চাল নাচ ও গান। ব্রজধামের এই বিখ্যাত হোলি উৎসব দেখতে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ আসেন মথুরা-বৃন্দাবনে।
এদিকে এবার হোলির প্রাক্কালে ক্রমেই এদেশে চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। ইতিমধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪। সংক্রমণ এড়াতে এবার জমায়েত না করার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই এবার ফুল আর আবির দিয়ে রঙ খেললেন না বৃন্দাবনের বিধবারা। আগামী ২ মাসের জন্য বৃন্দাবন মন্দিরে বিদেশি ভক্তদের না আসার অনুরোধ জানিয়েছে ইস্কন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি করোনা আতঙ্কে এবার অন্যান্য বারের তুলনায় ব্রজধামে ভক্তের সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে।