
Fight over Samosa: শিঙাড়া এনে দেওয়ার আবদার জানিয়েছিলেন নববিবাহিতা স্ত্রী। সে কথা শুনে দোকানের উদ্দেশে রওনা হন স্বামী। কিন্তু তিনি রাস্তায় টাকা হারিয়ে ফেলেন। ফলে খালি হাতেই বাড়ি ফিরে আসতে হয়। স্ত্রীকে জানান, শিঙাড়া আনতে পারেননি। সে কথা শুনবে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন স্ত্রী। তিনি স্বামীকে গালমন্দ করতে শুরু করেন। সটান বলে দেন, স্বামী যখন শিঙাড়া এনে দিতে পারেননি তখন রাতে আর কিছু খাবেন না। স্বামীও পাল্টা ঝগড়া শুরু করেন। এরপর চরম রাগে ফোন করে বাপের বাড়ির লোকজনকে খবর দেন স্ত্রী। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন হাজির হন। তাঁরা মারধর শুরু করেন। মার খাওয়া স্বামীর দাবি, শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর মাকেও মারধর করেন স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজন।
এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পিলিভিট জেলায় (Pilibhit district)। মার খাওয়া স্বামীর নাম শিবম। তাঁর স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা। তাঁর পরিবারের সদস্যরা শিবম ও তাঁর মাকে বেল্ট দিয়ে মারেন বলে অভিযোগ। শুধু ও শিবম ও তাঁর মা-ই নন, আরও কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের এক সদস্যও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপেও কোনও লাভ হয়নি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিবম জানিয়েছেন, ‘আমার স্ত্রী শিঙাড়া এনে দিতে বলেছিল। কিন্তু আমি শিঙাড়া আনতে পারিনি। পঞ্চায়েতের সদস্যরা এই সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্যা মেটানোর বদলে ওর পরিবারের সদস্যরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ শিবমের মা জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে শিঙাড়া এনে দিতে না পারায় বৌমা বলে ও কিছু খাবে না। এরপর ও পরিবারের লোকজনকে ডেকে আনে। পঞ্চায়েতে আলোচনার সময় ওরা আমাদের মারধর করে।’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।