নতুন ফ্রিজ কিনে সহবাস সঙ্গীর দেহের ৩৫টি টুকরো রেখেছিল প্রেমিক, ১৮ দিন ধরে রাত ২টোয় লোপাট হত প্রমাণ

দিল্লিতে লিভ - ইন সঙ্গীকে নৃশংস খুনের ঘটনায় সামনে এল অবাক করা তথ্য। দিল্লি পুলিশের অনুমান আমেরিকান ক্রাইম শো দেখেই সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল আমিন পুনাওয়ালা। কেনা হয়েছিল ফ্রিজ আর ধূপকাঠি।

 

Saborni Mitra | Published : Nov 14, 2022 10:44 AM IST / Updated: Nov 14 2022, 04:30 PM IST
110
দেহ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ


খুনের পর  প্রমাণ লোপাটের জন্য একটি নতুন ফ্রিজও কিনেছিল ছিল। মৃতদেহে দুর্গন্ধ যাতে ফ্ল্যাট বাড়ির অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে তারজন্য প্রচুর পরিমাণে ধূপকাঠিও কেনা হয়েছিল। শুধু সকাল বিকেল-ই নয় দিনের অধিকাংশ সময় ধূপকাঠি বা আগরবাতি জ্বেলে রাখত খুন প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। 
 

210
জেরায় স্বীকার খুনের কথা


শনিবার দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে আফতাব আমিন পুলাওয়ালাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করার। শনিবার থেকেই দিল্লি পুলিশের কঠোর জেরার মুখোমুখি হতে আমিন হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পাশাপাশি সে জানিয়েছে প্রমাণ লোপাটের জন্য সে কী কী পদক্ষেপ করেছিল। 

310
বিয়ের চাপে খুন


আমিন আরও জানিয়েছিল শ্রদ্ধা তাঁকে বিয়ে করার জন্য বারবার জোর করছিল। আর সেই নিয়েই গত ১৮ মে তাদের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। তাতেই রেগে গিয়ে নিজের বান্ধবীকে হত্যা করেছিল ১৮ মে। কিন্তু তারপর থেকেই প্রমাণ লোপাটের জন্য রীতিমত তৎপর ছিল আমিন।
 

410
৩০০ লিটারের ফ্রিজ


প্রমাণ লোপাটের জন্যই সে একটি ৩০০ লিটার রেফ্রিজারেটার কিনেছিল। আর সেখানেই রাখা হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহে ৩৫টি টুকরো। কারণ খুনের পরই শ্রদ্ধার শরীরটি ছিন্নভিন্ন করে ৩৫টি টুকরো করেছিল আমিন। রেফ্রিজারেটারে সংরক্ষণ করা হয়েছিল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।  

510
দুর্গন্ধ ঢাকতে ধূপকাঠি


পুলিশ আরও জানিছেন মৃতদের পচা দুর্গন্ধ ঢুকে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ ধূপকাঠি কিনেছিল হত্যাকারী। সকাল বিকেল- ছাড়াও দিনের অধিকাংশ সময় ফ্ল্যাটে জ্বেলে রাখত ধূপ। রুম ফ্রেসনার ও সেন্টও স্প্রে করল। 
 

610
টানা ১৮ দিন দেহ সংরক্ষণ


এভাবেই শ্রদ্ধার দেহের টুকরো সংরক্ষণ করে টানা ১৮ দিন রেখেছিল। তবে প্রতিদিন রাতেই দেহের একটা কি দুটো অংশ নিয়ে বেরিয়ে যেত আমিন। ফেলে আসত মেহরাউলির জঙ্গলে। যার কিছু অংশ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

710
আমেরিকান ক্রাইম শো


তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান আমেরিকান ক্রাইম শো ডেক্সটার - দেখেই খুন আর প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা করেছিল আমিন। পুলিশ আরও জানিয়েছে আফতাব আমিন মাসের ছুরি ব্যবহারে পারদর্শী ছিল। কারণ শেফ হিসেবেও তার প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল। 
 

810
নিপুণ হাতে দেহ ছিন্নভিন্ন


পুলিশ জানিয়েছেন শেফ হিসেবে প্রশিক্ষণ থাকায় আফতাব আমিন খুব নিপুণ হাতে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করতে পেরেছিল। আর সেগুলি সংরক্ষণ করার জন্য রেখেছিল ফ্রিজে। আর প্রতিদিন রাতে নিয়ে যেত জঙ্গলে। 

910
দিল্লি পুলিশের অনুমান


এই খুনের ঘটনায় আফতাব আমিনের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই দিল্লি পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে। আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ফ্ল্যাটে গেছে ফরেন্সিক দলও। সংগ্রহ করেছে নমুনা । 
 

1010
বন্ধ ফোনে সন্দেহ

মুম্বই থেকে আফতাব আমিন পুনাওয়ালার হাত ধরেই বাড়ি ছেড়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকার।  একই সঙ্গে থাকত। পরিবারের সঙ্গে শ্রদ্ধা তেমনভাবে যোগাযোগ রাখত না। কিন্তু শুধু ভাইয়ের সঙ্গেই কথা হত। তবে টানা দুই মাস ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ গিয়ে পড়ে আমিনের ওপর। তারপরই দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওয়াকার পরিবার। 

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos