দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতরণা ও অসত্য বলার অভিযোগে শুরু হল মামলা। সম্প্রতি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাঁচি হাইকোর্টের এই আইনজীবী এইচকে সিং। এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে রাঁচির একটি নিম্ন দায়রা আদালতে।
নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে ওই আইনজীবীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার জন্য প্রত্যেক ভারতীয়র অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা। এই মামলায় তৃতীয় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামদাস আটাওলের।
আরও পড়ুন: ফের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলল গুলি, ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকবাজের হামলা
শীর্ষস্থানীয় তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৫ ধারা অনুযায়ী প্রতারণ, ৪২০ ধারা অনুযায়ী অসাধুতার মামলা রুজা হয়েছে। এছাড়াও যুক্ত করা হয়েছে ১২৩ (বি) ধারা।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওঁদের, ওয়াঘা পেরিয়ে ভারতীয় হওয়ায় ইচ্ছা ২০০ জন পাক হিন্দুর
আইনজীবী নিজের বক্তব্যে সাফ জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মত এই আইন সংসদে পাস করা হয়েছে। তার পরেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী, নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হলেও প্রত্যেক ভারতবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না, বিষয়টিকে দ্বিচারিতা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আইনজীবী এইচকে সিং এরপরেই বলেন, এই ধরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ না করা বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। ভোট চাওয়ার জন্যই এই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওই আইনজীবীর করা মামলাটি গ্রহণ করেছে রাঁচির নিম্ন আজালত। যার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ২ মার্চ।
আবেদনকারী আইনজীবীর দাবি, ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই ধরণের কোনও প্রতিশ্রুতি গেরুয়া শিবির দেয়নি বলে আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছেন অমিত শাহ।