
PM Modi and Amit Shah Praise Security Forces: ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার আবুঝমাড় বনাঞ্চলে সংঘর্ষে ২৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মাওবাদী শীর্ষ নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, “এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে গর্বিত। মাওবাদ নির্মূল করে জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সাফল্যকে “নকশালবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, “সিপিআই (মাওবাদী) প্রধান সম্পাদক বাসবরাজুকে প্রথমবারের মতো আমাদের বাহিনী সংঘর্ষে নিহত করেছে। মাওবাদী আন্দোলনের মেরুদণ্ড ছিলেন তিনি। এই বিরাট সাফল্যের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থাগুলিকে অভিনন্দন।”
অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই অভিযানের পর ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রে মোট ৫৪ জন মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ৮৪ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। “২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করাই মোদী সরকারের লক্ষ্য,” তিনি জানিয়েছেন।
এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট”। ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টায় (KGH) এই যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও বলেছেন, “আমাদের সরকার গঠনের পর থেকে বাস্তারকে মাওবাদীমুক্ত করার কাজ চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী মিশন মোডে কাজ করছে। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তারকে নকশালমুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি।”
নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার জিয়ান্নাপেটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওয়ারাঙ্গালের রিজিওনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মাথায় পুলিশ ১.৫ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।