করোনা পজিটিভিটির রেটে বর্তমানে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলা। তাতে বাংলার পাশাপাশি উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্র সরকারেরও।
ঝড়ের গতিতে করোনা গ্রাফ বাড়ছে গোটা ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে ২ লক্ষ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। গতকালের থেকে এদিন সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। তাতেই ঘোর উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এমতাবস্থায় বৃহঃষ্পতিবার বিকেলে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর (Maharashtra, Delhi, West Bengal, Karnataka, Tamil Nadu) অবস্থা সবথেকে বেশি উদ্বেগজনক। এদিন মোদীর বৈঠকে এই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের থাকার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। তবে বৈঠকে হবে মূলত ভার্চুয়ালিই। এদিকে করোনা পজিটিভিটির রেটে(Rate of coronavirus positivity) বর্তমানে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলা(West Bengal Corona Infection)। তাতে বাংলার পাশাপাশি উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্র সরকারেরও। এদিনের বৈঠকে তাই বাংলায় করোনা ঠেকাতে একাধিক কৌশলমুখী পদক্ষেপের উপর বিশেষ জোরা দেওয়া হবে বলে খবর।
এদিকে গতকালের চেয়ে এদিন ৫২ হাজারেরও বেশি মানুষ গোটা দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩১। করোনার দৈনিক পজিটিভিটি রেট বর্তমানে ১৩.১১ শতাংশ। সেখানে শুধুমাত্র বাংলার পজেটিভিটি রেট দেশের দ্বিগুন শুধু তাই নয় তা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩০ শতাংশের গণ্ডিও। এমনকী শহর কলকাতায় গত এক সপ্তাহে পজিটিভি রেট প্রায় ৬০ শতাংশ। যা চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্র সরকারকে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের পজিটিভিটি রেটও ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৪.৩ শতাংশে পৌঁছেছে। যা নিয়েও বেড়েছে চিন্তা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ৭ জানুয়ারি কলকাতা চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী-মমতা(Modi-Mamata Meeting)। এবার ফের এদিনের বৈঠকে একযোগে বসতে চলেছেন তারা।
আরও পড়ুন-আশঙ্কা সত্যি করে গঙ্গাসাগরই কী হচ্ছে সুপার স্প্রেডার, ভিড় বাড়াচ্ছে চিন্তা
এদিকে বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, দেশের মধ্যে কোভিড সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গ এখন শীর্ষে। যা নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে গোটা দেশে। এদিকে মমতার সঙ্গে শেষ বৈঠকে কেন্দ্রের সমস্ত কোভিড গাইডলাইন যাতে রাজ্য সরকার যথাযথ ভাবে পালন করে তাতে জোর দিয়েছিলেন মোদী। যদিও আগেই মোদী ঘোষণা করেছিলেন, প্রতিটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং জনস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক ডাকা হবে। তবে তারিখ নিয়ে ছিল সংশয়। অবশেষে সেই বৈঠক হতে চলেছে শুক্রের বিকেলে। এদিনের বৈঠকে করোনা বাগে আনতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীরা নতুন কোনও রাস্তা বাতলাতে পারেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।