প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিনের বৈঠকে স্পেসস্টেশন ও চাঁদে মানুষ পাঠানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্টেশন স্থাপন করতে চায়।
মহাকাশ গবেষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে একটি রিভিউ বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি মহাকাশ গবেষণার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি পরবর্তী লক্ষ্যগুলি নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন। চন্দ্রযান -৩ ও আদিত্য এল ১ মিশনের সাফল্যের উপর ভিত্তি করেই এই আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিনের বৈঠকে স্পেসস্টেশন ও চাঁদে মানুষ পাঠানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্টেশন স্থাপন করতে চায়। পাশাপাশি ২০৪ ০ সালের মধ্যে ভারত একজন ভারতীয়কে মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠানোর বিষয়ে ইসরোর লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন আর প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে যে বিষয়গুলি তার মধ্যে ছিল চন্দ্র অনুসন্ধানের একটি রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে চন্দ্রযান নিশনের একটি সিরিজ একটি নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল,একটি নতুন লঞ্চ প্যান তৈরির বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। মানবকেন্দ্রিক গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
বৈঠকে মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠানোর জন্য ভারতের প্রথম আদিবাসী মিশন গগনযান মিশনের অগ্রগতির মূল্যায়ণও করেছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী মহাকাশ বিভাগ মিশনের একটি পরিকল্পনার কথা বলেছেন। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, মানব-রেটেড লঞ্চ ভেইকেলও রয়েছে।
সূত্রের খবর এদিনের বৈঠকের ২০টি বড় পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যারমধ্যে তিনটি আনক্রুড মিশন হিউম্যান রেটেড লঞ্চ ভেহিকেল (HLVM3)রয়েছে। ২১ অক্টোবর ২০২৩ এর ক্রুএস্কেপ সিস্টেম টেস্ট গাড়ির প্রথম প্রদর্শনী ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে মিশন লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গগনযান মিশন সফল হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পরে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর জন্য চতুর্থ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি ভেনাস অরবিটার মিশন এবং একটি মার্স ল্যান্ডার সহ আন্তঃগ্রহের মিশন নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ভারতীয়দের সামর্থ্যের প্রতি আস্থা রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন।