একশো শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যে সফল এই রাজ্য, সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নরেন্দ্র মোদীর

রাজ্যের ১০০ শতাংশ যোগ্য ব্যক্তি এই ভ্যাকসিন পেয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে বড়সড় সাফল্য হিমাচল প্রদেশের।

Parna Sengupta | Published : Sep 6, 2021 9:50 AM IST

করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পূর্ণ। রাজ্যের ১০০ শতাংশ যোগ্য ব্যক্তি (vaccinating 100% of eligible population) এই ভ্যাকসিন পেয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে বড়সড় সাফল্য হিমাচল প্রদেশের। দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে হিমাচল প্রদেশ এই সাফল্য পেল। এক ভিডিও কনফারেন্সে হিমাচল প্রদেশ সরকারের (Himachal Pradesh government) অকুন্ঠ প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী হিমাচল প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনা  টিকা অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথোকথন করেন। হিমাচল প্রদেশ দেশের প্রথম রাজ্য, যেখানে ১০০ শতাংশ যোগ্য ব্যক্তিদের টিকাকরণ করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের বক্তব্যে বলেন গোটা হিমাচল প্রদেশ একটা টিম হিসেবে কাজ করেছে। তাই সাফল্য এসেছে। এই পরিসংখ্যান হিমাচল প্রদেশের জন্য একটা গর্ব। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে হিমাচল প্রদেশ। 

এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি বলেন, "হিমাচল প্রদেশ একশো শতাংশ জনসংখ্যার জন্য ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার।"

করোনা টিকাকরণে রাজ্যের কৃতিত্বের কথা স্বীকার করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দেন টিকা অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রকার শ্লথ গতি আনা উচিত নয়। মোদী বলেন "হিমাচল শুধু দেশের মনোবলই বাড়ায়নি বরং দেখিয়েছে যে কোভিড ভ্যাকসিনেশনে আত্মনির্ভরতা অর্জন করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন অভিযানের মাধ্যমে ভারত রেকর্ড তৈরি করছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যারা প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে, নির্দিষ্ট সময়ে অবশ্যই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। 

হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও সিকিম, দাদরা ও নগর হাভেলি তাদের যোগ্য জনসংখ্যার প্রথম ডোজের একশো শতাংশ করোনা ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন যে দ্রুতগতির টিকাকরণের ফলে ধীরে ধীরে উন্নতি হবে পর্যটন শিল্পেরও। এতে করোনার প্রতি আতঙ্ক কাটবে ও পর্যটক আসবে। 

Share this article
click me!