প্রতিবেশী দেশ চিনের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “ভারত তার সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি আরও জানান, “সারা বিশ্ব জানে যে, ভারত সবার আগে শান্তিকে মর্যাদা দেয়।"
আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রথম সরকারি রাষ্ট্রীয় সফরের আগে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়া দিল্লি এবং ওয়াশিংটন ডিসির মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও দৃঢ় এবং গভীরতর হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। এই সম্পর্ক সুরক্ষিত করতে এগিয়ে চলেছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের নেতাদের মধ্যে অভূতপূর্ব বন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোদী। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন, যা বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং শক্তির ক্ষেত্রে প্রসারিত হয়েছে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের আমন্ত্রণে নরেন্দ্র মোদী চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে গিয়ে ভারতের হয়ে জেট-ফাইটার ইঞ্জিন তৈরির চুক্তি সম্পন্ন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। উন্নত হালকা যুদ্ধ বিমান পাওয়ার জন্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সশস্ত্র প্রিডেটর ড্রোন কেনার জন্য বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে চলেছে। তিনি জানিয়েছেম পশ্চিমের দেশগুলি যখন মস্কোর বিরুদ্ধে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে, তখন নয়াদিল্লি লাভের জন্য দাঁড়িয়েছে। এমনকি ভারত রাশিয়া থেকে অনেক বেশি পরিমাণে তেল কিনছে, যখন এটি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি স্পষ্ট জানান যে, তাঁর পরিচালিত ভারত সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ‘নিরপেক্ষ’ নয় (যেমনটা বহু দেশ মনে করে থাকে), বরং, তাঁর সরকার ‘শান্তির পক্ষে’। “সারা বিশ্ব জানে যে, ভারত সবার আগে শান্তিকে মর্যাদা দেয়”। তিনি বলেন, “হাজার বছর ধরে, ভারত এমন একটি ভূমি, যেখানে সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করছেন। আপনি দেখতে পাবেন বিশ্বের প্রতিটি ধর্মের মানুষ ভারতে এসে সম্প্রীতিতে বসবাস করছে।”
সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “আমরা ভারতকে কোনও দেশের বিকল্প হিসেবে দেখি না। আমরা দেখতে পাই যে, ভারত এই বিশ্বে তার সঠিক অবস্থান অর্জন করছে।” “পৃথিবী আজ আগের চেয়ে অনেক বেশি আন্তঃসংযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল। স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে, সরবরাহ শৃঙ্খলে আরও বৈচিত্র্য হওয়া উচিত।” “চীনের সাথে স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও প্রশান্তি অপরিহার্য। সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার, আইনের শাসন পালন এবং মতবিরোধ ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমাদের মূল বিশ্বাস রয়েছে। একই সময়ে, ভারত তার সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” সমস্ত দেশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “সকল দেশের উচিত আন্তর্জাতিক আইন এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। যুদ্ধ নয়। কূটনীতি এবং আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করা উচিত।”
“সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রকৃত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে ভারত।” নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “আমি স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং সেই কারণেই আমার চিন্তা প্রক্রিয়া, আমার আচরণ, আমি যা বলি এবং করি, তা আমার দেশের বৈশিষ্ট্য আর ঐতিহ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত। আমি এটা থেকে আমার শক্তি আহরণ করি। আমার দেশ এবং আমি যেমন, ঠিক সেভাবেই আমি সারা বিশ্বের সামনে নিজেকে এবং আমার দেশকে তুলে ধরছি।”
আরও পড়ুন-
Weather Report Today: কেমন থাকবে কলকাতা ও বাংলার আবহাওয়া, কোথায় কখন বৃষ্টি ও গরমের পূর্বাভাস, একনজরে
বাটানগরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জমি দখলের চেষ্টা, স্থানীয় দুষ্কৃতী সুপ্রিয়-র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
আপনি কি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে বিয়ের পাত্র-পাত্রী খুঁজছেন? তাহলে এই ৫টি মিথ্যা থেকে সাবধান