বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের টার্গেট করলেও, বিজেপির রথের চাকা বসে গিয়েছিল মাত্র ৭৭-এ। পশ্চিমবঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরা থাকলেও, বিজেপি শীর্ষ নেতত্বের পাখির চোখ এখন আগামি বছরের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী শক্তি একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকী উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির তরফে পোস্টারে লাগানো হচ্ছে বাংলায় নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলের ব্যবহৃত 'খেলা হবে স্লোগান'। এই পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশে ফের বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। নির্বাচনের বছর খানেক আগে তাই উত্তর প্রদেশ সহ অযোধ্যার উন্নয়ন নিয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অযোধ্যার বিপূল উন্নয়ন ও ঢেলে সাজানোর জন্য যে প্রস্তাবিত প্রকল্প ছিল তার কাজ কতদূর হয়েছে তা যোগী আদিত্যনাথের কাছে জানতে চান নরেন্দ্র মোদী। চলতি মাসে এটি ছিল তাঁদের দ্বিতীয় সভা। বিগত কয়েক বছর ধরেই অযোধ্যার আধুনিকীকরণ, সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা চলছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান অযোধ্যায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনায় সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে অযোধ্যায় বিমানবন্দর, সড়ক ও রেলপথ সহ জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের হাল-হকিকত বিস্তারিতভাবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র মারফর জানা গিয়েছে, বৈঠকে মোদী যোগী আদিত্যনাথকে অযোধ্য়া উন্নয়ন প্রকল্পের কাজকে আর দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন, অযোধ্যাকে এমন এক রূপ দিতে যাতে সকল দেশবাসী যেন একবার হলেও অযোধ্যায় আসেন। অযোধ্য়া যেন প্রত্যেক ভারতীয়র নিজের শহর হয়ে ওঠে। অযোধ্যার ট্যুরিজমকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য নমো-র। এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,'ভগবান রাম যেভাবে মানুষকে একত্রে আনার ক্ষমতা রাখে, অযোধ্যার উন্নয়নমূলক কাজগুলি সুস্থ জনসাধারণের অংশগ্রহণের মনোভাবের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত, বিশেষত যুবকদের দ্বারা।' রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের বৈঠকে থেকে এটুকু পরিষ্কার যে অযোধ্যার বিপুল উন্নয়ন ও রাম মন্দির নির্মাণকে এবারের ভোটেও তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে পদ্ম শিবির।