
ভারতে জি-২০ সম্মেলন যাতে সফল হয় তারজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। সোমবার প্রস্তুতি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন এটি বিশ্বের কাছে ভারতের শক্তি প্রদর্শনের একটি অনন্য সুযোগ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জি-২০র সভাপতিত্ব কোনও একটি দেশের এজেন্ডা নয়। গোটা দেশের বিষয়। তিনি আরও বলেন, ভারতের সভাপতিত্ব জাতীয় উপলক্ষ্য , তাই বিরোধী নেতাদেরও এই বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিৎ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, এটি গর্বের বিষয়ে যে ভারত জি-২০ সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছে। এটি দেশের সুবিধে ও উন্নতির জন্য ব্যবহার করা উচিৎ। সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে এই সম্মেলনের মাধ্যমেই চিনকে বাধা দিতে হবে। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজা বলেছেন , ভারত যে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তার জন্য গোটা কৃতিত্ব সরকারের- এমনটা ধারনা করা ঠিক নয়। বিরোধীদেরও কৃতিত্ব রয়েছে।
সরকার সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন ভারত জি-২০র সভাপতিত্ব করছে -এই কৃতিত্ব কোনও এক ব্যক্তিবিশেষের নয়, গোটা দেশের। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভারতের প্রতি বিশ্বব্যাপী কৌতূহল এবং আকর্ষণ রয়েছে যা এই অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। যদিও প্রধানমন্ত্রী জি-২০ ইভেন্টের সাফল্যের জন্য দেশের প্রতিটি সংগঠনের সহযোগিতা চেয়েছেন। বলেছেন টিম ওয়ার্কের মাধ্যমেই এটি সফল করতে হবে।
মোদী বলেছেন জি-২০ র সভাপতিত্ব, বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনৈতিক দেশের কাছে ভারত মেট্রো এলাকাগুলি ছাড়াও অন্যান্য এলাকা তুলে ধরবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বাতন্ত্র তুলে ধরবে। উল্লেখ্য ইভেন্টের সময় বিপুল সংখ্যক দর্শক ভারতে আসবেন। সেই সময় দেশের পর্যটন ব্যবস্থা ও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে তুলে ধরতে হবে। তাতে স্থানীয় অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আরও ভাল হবে। প্রধানমন্ত্রী এর আগে বিজেপির একটি বৈঠকেও জি-২০ ইভেন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বলেছিলেন, এই ইভেন্টের জন্য দেশের প্রত্যেকটি মানুষের গর্বিত হওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুনঃ
মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়, হাঁচি দিয়ে কয়েক পা হাঁটার পরেই রাস্তাতে লুটিয়ে পড়ল তরুণ